৪৮ ঘণ্টার গভর্নর

দেশ রূপান্তর এম এ মোমেন প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৩, ১৩:০৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মির্জা নুরুল হুদা ১৯৬২’র জুলাই মাসে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হাফিজুর রহমানকে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী করা হলে, তার শূন্য পদে এম এন হুদাকে পছন্দ করা হলো। ১৯৬৫’র মার্চে পরিকল্পনা কমিশন থেকে পদত্যাগ করে মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ অপরাহ্ণে রাওয়ালপিন্ডিতে সরাসরি আলোচনার জন্য ডেকে নিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব খান। ১৯৬৮’র ডিসেম্বরেও একবার ডেকেছিলেন, তিনি তখন পূর্ব পাকিস্তানে বিরাজমান অসন্তোষের কারণগুলো জানতে চেয়েছেন। এবার জানতে চাইলেন গভর্নর মোনেম খানের কথা। এম এন হুদার আত্মজীবনীমূলক ইংরেজি গ্রš’ মাই সেভেন ডিকেড’স জার্নি ব্রিটিশ ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড বাংলাদেশ থেকে এ বিষয়ে খানিকটা তুলে ধরছি :


প্রেসিডেন্ট হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, মোনেম খান (পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর) এত অজনপ্রিয় কেন?


আমি হেসে জবাব দিই, ‘আমার বলাটা অন্যায় হবে... আমি তার কেবিনেটের একজন মন্ত্রী। আপনি তার কর্মপদ্ধতি তো অবশ্যই জানেন। তিনি শিক্ষক, ছাত্র এবং সবাইকে তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন।’


প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করিয়ে দিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, গভর্নর মোনেম খানের কাছ থেকে ১৯৬৪ সালে ডিপ্লোমা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মহাগোলযোগ ও উপদ্রব সূচিত হয়। ১৯৬৮’র শেষ নাগাদ মোনেম খানের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হতে থাকে। গাড়িতে এমনকি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যেতেও তিনি নিরাপদ বোধ করতেন না। রাস্তা এড়াতে তাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে আনা হতো। স্বচ্ছতার প্রশ্নে আমি প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে সোজা গভর্নরের কাছে চলে যাই এবং তার সম্পর্কে যে আলাপ হয়েছে সেটি আড়াল করে অন্য সব বিষয়ই তাকে জানাই। গভর্নর মোনেম খানের সামান্য প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে মনে হয়েছে যে তিনি বুঝতে পেরেছেন তার দিন ঘনিয়ে এসেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও