সরকারি সংস্থাটিকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল
সরকারি যে সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ‘লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস’ হয়েছে, সেটিকে আগেই সতর্ক করেছিল সরকারের সাইবার নিরাপত্তা দল সার্ট। গত ৮ জুন নিরাপত্তার ঘাটতির কথা জানিয়ে সংস্থাটিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সুরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সতর্ক করার পরও পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই গত ২৭ জুন দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপোলোস ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অরক্ষিত থাকার বিষয়টি দেখতে পান।
এদিকে তথ্য ফাঁসের খবরের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। গতকাল সোমবার ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বৈঠক করেছে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী কী করণীয়, তা বলা হয়। আর প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সক্ষমতা কতটুকু, সমস্যা কোথায়, তা তুলে ধরেছে।
বৈঠক শেষে দুটি কমিটি হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। তিনি বলেন, এই কমিটির কাজ হবে তথ্যপ্রযুক্তিগত কী কী দুর্বলতা আছে তা জানা, ব্যক্তিপর্যায়ে দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তা চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া।