এনআইডির তথ্য অরক্ষিত: কারও তথ্যই গোপন নেই
দেশের কয়েক কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে মূলত জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের (ওআরজিবিডিআর) ওয়েবসাইট থেকে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে।
বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্যভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।
প্রযুক্তিবিদেরা বলছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্মনিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাঁকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েব বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তাঁর আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।