তথ্য ফাঁসে বিপদে পড়তে পারেন যে কেউ
সরকারি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে ফাঁস হয়েছে নাগরিকদের নাম, জন্ম তারিখ, ই-মেইল এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের মতো সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য। দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপাওলোস এমনটাই দাবি করেছেন।
সার্টের নির্দেশনা না মানা এবং টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, হ্যাক নয়, সিস্টেম দুর্বলতার কারণে একটি সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মোচন হয়েছে। দেশের নাগরিকদের তথ্য এভাবে অবাধে ছড়িয়ে পড়ায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেট পলিসি প্রণয়ন, সাইবার নিরাপত্তা, ইন্টারনেট গভর্নেন্সসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন, জনসাধারণ যেকোন ডিজিটাল সেবা পেতে পরিচয়পত্র ব্যবহার করে থাকেন। এই ডেটা ফাঁস হওয়ায় এখন আমার আইডি কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে। এর মাধ্যমে আমার ক্রেডিট কার্ড থেকে ভার্চুয়ালি টাকা চুরি করতে পারে যে কোনো হ্যাকার। তিনি বলেন, সাধারণ নাগরিকের এসব তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় কে কখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কেউ জানে না। একজন নাগরিকের তথ্য ফাঁসের কারণে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। শিকার হতে পারেন ব্ল্যাকমেইলের। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকেও কেউ অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। তার ব্যবসা-বাণিজ্যের নথিপত্র হাতিয়ে নিতে পারে, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ পারিবারিকভাবে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে, জায়গা জমি কাগজপত্র হাতিয়ে নিতে পারে।
- ট্যাগ:
- প্রযুক্তি
- তথ্য ফাঁস
- বিপদ
- কারিগরি ত্রুটি