হিরো আলমদের ‘হিরো’ বানাবেন না

বিডি নিউজ ২৪ অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৩, ২১:৩১

বাংলাদেশে নির্বাচন সঠিকভাবে হয় না বা হলেও ফলাফল সঠিকভাবে ঘোষণা করা হয় না—এই অভিযোগ পুরনো। একটা কথা বলি, সরকারবিরোধী প্রচারণা জোরসে চললেও এখন আর আগের মতো হালে পানি পায় না। সত্য ও অর্ধ সত্যের সঙ্গে মিথ্যার মিশেল দিয়ে গুজবকারীরা এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে যে কেউ আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সেই ফাঁকে ঢুকে পড়েছে বৈরী কালের বাতাস । হিরো আলমরাও নির্বাচনী রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে যাচ্ছেন।এই বিষাক্ত বাতাসে গণতন্ত্র ধুঁকছে। আজ একটু স্পষ্ট করেই বলতে চাই, আসলে কি গণতন্ত্র আমাদের খুব প্রয়োজন? না আমরা চাইছি শেখ হাসিনা বিরোধিতা?


ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো দলের অন্ধ সমর্থক নই। ছেলেবেলায় বাম আদর্শের প্রতি ঝুঁকলেও বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার মৃত্যু মানতে পারিনি। বিশেষ করে ইতিহাস বিকৃতি আর বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডবকালে বড় হয়ে উঠেছি আমরা। নিষিদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য যেমন, তেমনি এরশাদের ভয়াবহ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটানোর জন্যও নৌকায় ভোটও দিয়েছি। আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি। নৌকা ছিল তখন আশা ও ভরসার প্রতীক।


এখন নৌকা দেশ শাসনে। একের পর এক দেশ শাসনের ফলে দেশের চেহারা পাল্টে গেছে।গোল বেধেছে নির্বাচন আর গণতন্ত্র নিয়ে। এ লেখা যখন লিখছি  খবরে দেখলাম হোয়াইট হাউসে নাকি কোকেন পাওয়া গেছে। খবরটা এখনো এটা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে এমনটা ঘটলে কি অবাক হবো খুব? গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী দেশ আমেরিকা। এটা সত্য তাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র ভিত্তি পেয়েছে অনেক আগে। এবং তারা গণতান্ত্রিক জাতি। কিন্তু বাইরের দেশগুলোতে কি আমেরিকা সত্যি গণতন্ত্রের পক্ষে ন্যায়নিষ্ঠ? আজ যারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকার হটানোর জন্য আমেরিকার পায়ে ধরতে রাজি, তারা কি ইরাক ও আরব দেশে আমেরিকার যুদ্ধ আর সরকার হটানো সমর্থন করেন? আমি জানি তারা তা করেন না। কিন্তু ওই যে দুশমনের দুশমন আমার বন্ধু সে ভাবে আমেরিকাকে দোস্ত ভাবার যুগ শুরু হয়েছে এখন। এর মূল্য কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ দেবে সময় ।


আমি একবারও বলছি না আমেরিকা বা পশ্চিমা দেশের সঙ্গে বৈরিতা করতে হবে। বরং ইউরোপের গণতন্ত্র বা সভ্যতার সঙ্গে চলি না বলেই আজ আমাদের এই করুণ হাল। এখানেও একটা কথা বলা জরুরি, যারা এখন গণতন্ত্রের নামে আমেরিকা ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর সমর্থন কামনা করেন তারা ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে ঘোর পশ্চিমাবিরোধী। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ কি সেটা বিএনপি বা জামায়াতের আদর্শ বিবেচনা করলেই টের পাওয়া যায়। যখনই তারা দেশ শাসনে বা গদিতে এসেছে তখনই আসল চেহারা দেখেছে মানুষ। তারপরও গণতন্ত্রের নামে তাদের মায়াকান্না দেখি আর ভাবি আসলে কি চায় তারা?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও