সিধু-কানুর হুল ও তাঁদের উত্তরসূরিরা

বিডি নিউজ ২৪ সালেক খোকন প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৩, ১২:৫৬

সাঁওতালসহ সমতলের আদিবাসীদের কাছে ৩০ জুন একটি বিশেষ দিন। এদিনে তাঁদেরই প্রাণপুরুষ সিধু-কানু নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমিদার মহাজনদের, ইংরেজ শাসকের, পুলিশ-পাইক-পেয়াদার আর জজ–ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিলেন, যাকে সাঁওতাল হুল বা সাঁওতাল বিদ্রোহ বলা হয়।কিন্তু ওই বিদ্রোহের ১৬৮ বছর পরও সেই ভূমির জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশে জীবন দিতে হচ্ছে সাঁওতালসহ সমতলের আদিবাসীদের। সেখানে সিধু-কানুর লড়াই কতটা উজ্জীবিত করছে তাঁদের উত্তরসূরিদের? সে প্রশ্নের উত্তর মেলানোর আগে কেন এবং কীভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন সিধু-কানু, সেদিকে একটু ফিরে তাকানো যাক।


ইংরেজ আমলের কথা। রাজমহল পাহাড় আর আশপাশের পার্বত্য ও নদীঘেরা অঞ্চলের জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষবাদ করার ঘোষণা দেয় ইংরেজরা। ঘোষণায় বলা হয়, যে যত খুশি তত জমি তৈরি করতে পারবে, ওই জমির ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এ আহ্বানে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, ছোট নাগপুর, কটক প্রভৃতি অঞ্চল থেকে হাজার হাজার সাঁওতাল ছুটে আসে। জঙ্গল পরিষ্কার করে তৈরি করে চাষাবাদের জমি। এভাবেই প্রতিষ্ঠা পায় বর্তমান সাঁওতাল পরগনা।


কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তারা ওই অঞ্চলের জমির ওপরও কর ধার্য করে। এ ছাড়া ওই সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মহাজন ও ব্যবসায়ীরাও নানাভাবে শোষণ শুরু করে সাঁওতালদের। তাদের কাছ থেকে ধান, শর্ষে ও তেলবীজ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিত ওই শোষকেরা। এর বিনিময়ে সাঁওতালদের দেওয়া হতো সামান্য অর্থ, লবণ, তামাক ও কাপড়। ধূর্ত ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদের কাছ থেকে যখন কোনো জিনিস কিনত, তখন ‘কেনারাম’ নামের বেশি ওজনের বাটখারা ব্যবহার করত। আর যখন তাঁরা সাঁওতালদের কাছে কিছু বিক্রি করত, তখন ব্যবহার করত ‘বেচারাম’ নামের কম ওজনের বাটখারা। এভাবে ব্যবসায়ীরা ওজনে ঠকাত সহজ-সরল সাঁওতালদের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও