কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফের সাংবাদিকতায় জনসন

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৩, ১০:৫৭

বরিস জনসন ডেইলি মেইলে কলামিস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন। কেলেঙ্কারির জেরে এমপি হিসেবে পদত্যাগের পর পুরনো পেশায় ফিরে গেলেন তিনি। ডেইলি মেইলে কলাম লিখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের এবার তিনি ধরাশায়ী করবেন, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া


কলামিস্ট জনসন



জনসন আর কেলেঙ্কারি শব্দ দুটি সমার্থক। জনসন কোনো পদে থাকবেন আর সেখানে তিনি কেলেঙ্কারি করবেন না, তা হতে পারে না। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নিয়ে। গত বছর একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এরপর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে নিজের আসন থেকেও বিদায় নেন জনসন। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় লকডাউন চলাকালে বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি আয়োজন ও সেই আয়োজন নিয়ে পার্লামেন্টকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই চলতি বছরের ১০ জুন জনসনের এমপি পদ ছাড়ার ঘোষণা আসে। এই ঘোষণার পর তার রাজনৈতিক জীবন এবং সেখান থেকে তার পতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল, ঠিক তখনই আরেকটি খবর তাদের চমকে দিল। এমপি হিসেবে পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর জানা গেল, যুক্তরাজ্যের সাবেক এই কেলেঙ্কারিপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ব্রিটেনের বিখ্যাত ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের কলামিস্ট হয়েছেন বরিস জনসন। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন জনসন। আবার তিনি সেই পুরনো পেশাতেই ফিরলেন। প্রতি শনিবার ডেইলি মেইলে একটি করে কলাম লিখছেন ৫৯ বছর বয়সী জনসন। তার এই নতুন চাকরি নিয়ে ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কেউ বরিস জনসনের ফ্যান হোন বা না হোন, তার লেখা মানুষ পড়বেই। ওয়েস্টমিনস্টার থেকে শুরু করে বিশ্বের লাখো মানুষ জনসনের কলামের একনিষ্ঠ পাঠক।’ যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিভাজন সৃষ্টিকারী রাজনীতিক জনসন গত বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের পর কেবল সভা-সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েই লাখ লাখ পাউন্ড কামিয়েছেন। ডেইলি মেইল তাকে মোটা অঙ্কের বেতন দেবে, এটাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া ডেইলি মেইল জনসনের কট্টর সমর্থক, তা কারও অজানা নয়। লকডাউনের সময় বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি আয়োজন নিয়ে সংসদীয় কমিটি যেদিন জনসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পায়, তার পরদিন ব্রিটিশ ওই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ইমেজে কাদা ছেটায় সংবাদমাধ্যমগুলো। তাদের প্রথম পাতাজুড়ে সেদিন জনসনকে ঘিরে সমালোচনার তীব্র ঝড় বয়ে যায়। লক্ষণীয় বিষয়, সব পত্রিকা সে সময় সরব থাকলেও যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল একেবারে চুপ ছিল, যা অনেকের কাছে দৃষ্টিকটু ঠেকেছিল। ডেইলি মেইলে জনসনের কলাম লেখার খবর দেওয়ার সময় পত্রিকাটি রহস্যের আশ্রয় নেয়। কোনো নাম উল্লেখ না করে তারা জানায়, ‘এক পণ্ডিত ব্যক্তি আমাদের নতুন কলামিস্ট হতে যাচ্ছেন।’ পরে ডেইলি মেইলের মুখপাত্র শোন ওয়ালশ নিশ্চিত করেন, সেই রহস্যময় লেখক আর কেউ নন বরিস জনসন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ওয়ালশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ডেইলি মেইলের অনলাইনে জনসনের প্রথম সাপ্তাহিক কলাম প্রকাশিত হওয়ার একটু আগে। পরের দিন পত্রিকার পাতায় কলামটি ছাপা হবে বলেও জানান তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও