দেশে খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলার

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৩, ০৮:৪৫

বাংলাদেশে মজুদ খনিজ সম্পদের বাজারমূল্য নিরূপণ করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রাকৃতিকভাবে মজুদ খনিজ সম্পদের মূল্য ২ দশমিক ২৬ ট্রিলিয়ন (২ লাখ ২৬ হাজার কোটি) ডলারের বেশি। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৪১ দশমিক ৯৭ ট্রিলিয়ন (২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ কোটি) টাকা। তবে জিএসবির এ হিসাবে দেশে মজুদ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যকে ধরা হয়নি। জিএসবির হিসাবের সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যকে বিবেচনায় নেয়া হলে দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের নিরূপিত মূল্য আরো কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


মহামূল্যবান এ খনিজ সম্পদ উত্তোলনে সরকারি বিনিয়োগ খুবই যৎসামান্য। দেশের অভ্যন্তরে খনিজ সম্পদের প্রকৃত মজুদ, প্রমাণিত মজুদ ও রিজার্ভের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পরীক্ষা করা হয়নি বলে জানিয়েছে জিএসবি। সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরাও বলছেন, দেশে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ মজুদ থাকলেও এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। যে কারণে এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও বছরের পর বছর ধরে সামান্যই থেকে গেছে। 


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে উদ্যোগী হলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস হতে পারে। আবার এগুলো দিয়ে চলমান জ্বালানি সংকটের সমাধান এমনকি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হতো। 


দেশের খনিজ সম্পদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসই বড় পরিসরে উত্তোলন করা হচ্ছে। এখন এ গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ নিঃশেষ হয়ে আসছে। আমরা মনে করি, দেশে আরো গ্যাস আছে এবং তা উত্তোলন করা যাবে। যদিও এ বিষয়ে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগ সন্তোষজনক নয়। কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে সরকারকে দেখি না। উত্তরবঙ্গে পাঁচটি খনি আছে। এছাড়া জয়পুরহাটে মাটির নিচে বিশাল আকারে চুনাপাথর আছে, এটাও উত্তোলন করা হয় না।’ 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও