কারামৃত্যু: প্রকৃত তথ্য জানা চাই

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩, ০২:৩১

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে একই দিনে বিডিআর বিদ্রোহে দণ্ডপ্রাপ্ত একজনসহ তিন বন্দির মৃত্যুর খবর বেদনাদায়ক হইলেও বিস্ময়কর নহে। একই দিনে তিনজন না হইলেও এই রূপ মৃত্যুর খবর আমরা প্রায়শ পাইয়া থাকি। যেমন চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও কেরানীগঞ্জ কারাগারে সত্তরোর্ধ্ব একজন বন্দির মৃত্যু হইয়াছিল। গত মাসেও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গিয়াছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর একজন। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত পাঁচ বৎসরে সাড়ে তিন শতাধিক কারাবন্দির মৃত্যু ঘটিয়াছে। বলা বাহুল্য, করাভ্যন্তরে মৃত্যুর সকল ঘটনাই সংবাদমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছাইবার নিশ্চয়তা নাই।


কারাগারে মৃত্যুর প্রায় সর্বক্ষেত্রে অভিন্ন ভাষ্য মিলিয়া থাকে। সংশ্লিষ্ট বন্দি ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হইয়া পড়েন। ‘দ্রুত’ নিকটস্থ কিংবা নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালে লইয়া যাইবার পর চিকিৎক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া তাঁহাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনের জিজ্ঞাসার জবাবে মৃত্যুর কারণ লইয়া পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষের চাপান-উতরও বিরল নহে। কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করিয়া থাকে, আসামি অধিকাংশকেই ‘অসুস্থ’ অবস্থায় কারাগারে লইয়া আসে পুলিশ। আর পুলিশের পক্ষ হইতে কারাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কিংবা চিকিৎসাহীনতার দোহাই দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, এইরূপ মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ পরস্পর দায় চাপাইয়া দায়িত্ব শেষ করিতে পারে না। মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত করিতে হইবে। বন্দি বা অপরাধী সাব্যস্ত হইয়াছে বলিয়া তাহাদের মানবাধিকার রহিত হইতে পারে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও