বাংলাদেশে কর কাঠামো আরো সুদৃঢ় করা প্রয়োজন
যেকোনো অর্থনীতির স্বনির্ভরতার প্রশ্নে রাজস্ব আয়ের বিকল্প নেই। যে দেশ যত বেশি উন্নত, তাদের রাজস্ব আয়করণ প্রক্রিয়া তত বেশি বিস্তৃত এবং বর্ধনশীল। কারণ দেশ পরিচালনার জন্য সরকারকে নির্ভর করতে হয় রাজস্ব আয়ের ওপর। বাংলাদেশ সরকার মূলত কর ও কর-বহির্ভূত বিভিন্ন উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের প্রধান উৎস তিনটি। আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে শুল্ক, পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পণ্যের ওপর আহরিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও আয়কর এবং ভ্রমণ কর। এ তিন প্রধান উৎসের আওতায় পড়ে অন্য সব উৎস। এর মধ্যে রয়েছে আবগারি শুল্ক, বাণিজ্যিক শুল্ক, সম্পত্তি কর, রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প, বিনিয়োগ ও ঋণ, রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত, সমুদ্রবন্দর, প্রাকৃতিক সম্পদ। এসব উৎস থেকে আহরিত হয় সরকারি রাজস্বের অধিকাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা পৌনে এক কোটি ছাড়িয়েছে। দেশের মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৮ লাখ। তারা সবাই এনবিআরের নিবন্ধিত ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় টিআইএন গ্রহণের হার অনেক বেড়েছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- কর কাঠামো
- অর্থনৈতিক সক্ষমতা