সরকারে দৃঢ় রাজনীতিতে বড়
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন, এরপর ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঝাণ্ডা হাতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া দলটির নাম আওয়ামী লীগ। আজ ২৩ জুন দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ ৭৪ পার করে ৭৫ বছরে পা রাখছে। প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম বাংলাদেশের ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা পার হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আওয়ামী লীগ। এত দিনের লড়াই-সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় দলটি ঋদ্ধ হয়েছে। দুঃসময়ের হতাশা বা চাপে কাবু করতে পারেনি। বরং উপমহাদেশের অন্যতম গৌরবান্বিত সংগঠনের পরিচিতি পেয়েছে।
পঁচাত্তরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ব্যাপক হারে দমন-পীড়ন চললেও আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দিতে পারেনি। উল্টো নেতৃত্বের দৃঢ়তায় লক্ষ্য স্থির করে আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে ইতিবাচক অবস্থান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোন অগ্রাহ্য করে যুদ্ধাপরাধী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ক্ষমতার দৃঢ়তায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চৌকস নেতৃত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন আশির দশকে চরম দুর্দিনে বিদেশ থেকে ফিরে এসে দলের হাল ধরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ভূমিকায় যেমন বিভিন্ন সময় দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং জনগণের মধ্যে গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, তেমনি সরকারের ভূমিকায় দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে।