উইন্ডোজ পিসি কখন রিসেট দেবেন

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩, ১২:৩১

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উইন্ডোজ পিসিগুলো বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। এসব সমস্যার ফলে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব প্রভাবিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান ট্রাবলশুটিং ও মেইনটেন্যান্সের মাধ্যমে সহজেই করা যায়। কিন্তু এমন অনেক পরিস্থিতি বা সমস্যা আছে, যা সমাধান করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন হয়। এ প্রতিবেদনে আমরা এমন পাঁচটি সাধারণ লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব, যা থেকে বুঝতে পারবেন কখন আপনার উইন্ডোজ পিসির ফ্যাক্টরি রিসেট প্রয়োজন। এ লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে পিসিকে মূল অবস্থায় ফিরিয়ে এনে পুনরায় সর্বোত্তম পারফরম্যান্স উপভোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ফ্যাক্টরি রিসেট করা হলে ফাইল, সফটওয়্যার, ফটো ইত্যাদিসহ ওই পিসির সব ডাটা মুছে যাবে। সুতরাং রিসেট করার আগে সম্পূর্ণ ডাটা ব্যাকআপ করে নেয়া প্রয়োজন।


ধীরগতি ও হ্যাং হওয়া


কম্পিউটার যদি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ধীরগতির হয় এবং প্রায়ই হ্যাং হয়ে যায়, তবে এটি সমস্যার লক্ষণ। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ডিভাইসটির ফ্যাক্টরি রিসেট করা প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার পিসি অপ্রয়োজনীয় ফাইল, অ্যাপ্লিকেশন এবং সেটিংস জমা করে রাখে। এগুলো ডিভাইসের প্রসেসিং ক্ষমতার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ দখল করে রাখে। এতে ডিভাইসের পারফরম্যান্স কমে যায় এবং দীর্ঘক্ষণ হ্যাং হয়ে থাকে। এ অবস্থায় ফ্যাক্টরি রিসেট করে জমা হওয়া অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো মুছে দেয়ার মাধ্যমে পিসির সমস্যা দূর করা যায়। এভাবে পিসির সর্বোচ্চ প্রসেসিং ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি নতুন শুরুর পথ তৈরি হয়।


ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের আক্রমণ


অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ পিসি ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতে পারে। অনেক সময়ই কিছু ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম অপারেটিং সিস্টেমের গভীরে ঢুকে যায়। ফলে এসব প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ অপসারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্যাক্টরি রিসেট শুধু বিদ্যমান ভাইরাস থেকে মুক্তি দেয় না, বরং সম্ভাব্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রামগুলো মুছে দেয়। ফলে পিসির সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য একটি পরিষ্কার ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়।


সফটওয়্যার ও ড্রাইভারের অসামঞ্জস্যতা


সফটওয়্যার ও ড্রাইভারের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা থাকলে উইন্ডোজ পিসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে পারে। এতে ডিভাইসের স্থিতিশীলতা ও কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ সমস্যা প্রায়ই অসম্পূর্ণ প্রোগ্রাম ইনস্টল বা পুরনো ড্রাইভারের কারণে ঘটে, যা আর সমর্থিত নয়। এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি রিসেটের মাধ্যমে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সফটওয়্যার বা ড্রাইভারকে বাদ দিয়ে পিসিকে ফের মূল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। এর মাধ্যমে আপনি সফটওয়্যার বা ড্রাইভারসংক্রান্ত যেকোনো জটিলতা দূর করে নতুন একটি শুরু করতে পারবেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে