মাহমুদুলের দাপটে তটস্থ থাকত সাধুরপাড়া
১৫ থেকে ২০ বছর আগেও সাধারণ জীবন যাপন করতেন। ছিলেন মুদিদোকানি। জাতীয় পার্টি দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তারপর যোগ দেন আওয়ামী লীগে। পদ–পদবি পেয়ে যান, হন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। এর মধ্যে তাঁর এক আত্মীয় পুলিশের বড় কর্মকর্তা হন। সেই পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে থাকেন। সামান্য মতবিরোধেই মানুষকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতে থাকেন।
এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। যেখানেই যেতেন, কয়েকটি মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসী বাহিনী ঘিরে থাকত তাঁকে। অনিয়ম-দুর্নীতি, অবৈধভাবে বালু বিক্রি, সালিসের নামে টাকা নেওয়া, জুয়ার আসর বসানো, পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়াসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন।
এত অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু (৫০)। এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা মাহমুদুল কদিন আগেও জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন ইউপির টানা দুবারের চেয়ারম্যান। সর্বশেষ তাঁর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক গোলাম রব্বানি নিহত হন বলে র্যাব জানিয়েছে। সেই মামলায় তিনিসহ ১৩ জন বর্তমানে কারাগারে। গত শুক্রবার দল থেকে বহিষ্কারের পর গতকাল সোমবার মাহমুদুলকে চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।