![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.dainikamadershomoy.com/files/thumbs/daily-media/2023/06/19/712x407/8.jpg)
চিন্তার কারণ কোরবানির পশুর দাম
‘দাম’ শব্দটি বরাবরই চিন্তা তথা দুশ্চিন্তার প্রতিশব্দ। আর এ সময়টায় তো বটেই- যেহেতু দুদিন পর পরই সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে পেঁয়াজ, চিনি, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের দাম। আর যদি এর সঙ্গে যুক্ত হয় উৎসবকেন্দ্রিক জিনিসের দাম, তা হলে তো দুশ্চিন্তায় রীতিমতো চোখে শর্ষে ফুল দেখার মতো অবস্থা হয়ে যায় মানুষের। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। উৎসবকেন্দ্রিক জিনিস বলতে এখানে কোরবানির পশুর দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর উৎসব বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে ঈদের প্রতি। অবশ্যই ঈদুল আজহা। চড়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে কিনতে যখন আমাদের গলদঘর্ম দশা, তখন কোরবানির পশু বাড়তি দামে কিনতে হবে- এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়া ছাড়া উপায়ান্তর থাকে না।
স্বীকার করি বা না করি, এটিই সত্য- আমরা সবাই এখন আতঙ্কিত। কথা আসতে পারে- যারা বিক্রেতা, তাদের আবার আতঙ্ক কিসের? দাম বেশি হলে তো তাদের লাভও বেশি হবে। তাদের তো আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে আনন্দিত হওয়ার কথা। আসলে এই কথাগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আড়তদারদের ক্ষেত্রে খাটলেও কোরবানির পশু যারা পোষেন, তাদের ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ পশুর দাম বৃদ্ধি মানে তাদের অধিক লাভ হয়ে যাওয়া নয়, বরং কোনো রকমে পুঁজি উঠে আসা বা সামান্য লাভ হওয়া। আর যদি দাম না বাড়ে, তা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করা যাক।
- ট্যাগ:
- মতামত
- কোরবানির পশু
- গরুর দাম