মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এই সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ
সাম্প্রতিক দশকে সবচেয়ে কঠিন সামষ্টিক-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আপদকালীন বাস্তবতার নিরিখে আসছে অর্থবছরের জন্য সরকারি আয়-ব্যয়ের একটি চ্যালেঞ্জিং পরিকল্পনা হিসেবেই প্রস্তাবিত বাজেটকে দেখতে হবে। তবে এক বছরের বাজেট দিয়েই সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব- এমন ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। পরিবর্তন ধীরে ধীরেই আসে। আগের বাজেটগুলোর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই এবারের বাজেট সেই পরিবর্তনের ধারাকে কতটা সহায়তা করছে সেটিই বিবেচ্য। এই পর্যালোচনায় বাজেটের দুটি দিকে আলোকপাত করতে চাই। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ওপর বাজেটের প্রভাব এবং রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা।
প্রথমেই আলোচনা করা দরকার বাজেটে মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রসঙ্গটিতে। সত্যি বলতে আসছে অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার কত হবে বা না হবে তার চেয়ে মূল্যস্ফীতি কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে- সেদিকেই বেশি নীতি-মনোযোগ কাম্য। তবে বাজেট প্রস্তাবনায় যেমন দাবি করা হয়েছে সেভাবে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য অর্জন আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে ভাবার সুযোগ আছে। কারণ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানাচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম এগারোটি মাসে কখনই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে ছিল না। আর মে মাসে মূল্যস্ফীতি তো প্রায় দুই অঙ্কের কাছে ঠেকেছে (৯.৯৪ শতাংশ)। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৬৪ শতাংশ। নিঃসন্দেহে এই অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা (৭.৫ শতাংশ) তার থেকে তা বেশ বেশি। আর পাশের দেশ ভারতের চেয়ে তা প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ওপরে ছিল সর্বশেষ ২০১০-১১ অর্থবছরে (১০.৯২ শতাংশ)।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নিয়ন্ত্রণ
- মূল্যস্ফীতি
- অর্থবছর