অভিনয় নিয়ে তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন না
‘বাংলার মাটির চেয়ে ভালো ব্লাড ব্যাংক আর নেই/যেখানে প্রতি ফোঁটা রক্ত দশ ফোঁটা হয়ে যায়/তাই মানুষ আর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে যায় না/বাংলার অফুরান রক্ত মাটি শুষে নেয়।’ একাত্তরে বাংলাদেশের সমর্থনে লন্ডনের ইজলিংটনে স্যাডলারস ওয়েলস থিয়েটারে আয়োজিত ‘কনসার্ট ইন সিমপ্যাথি’তে আবেগঘন কণ্ঠে আবৃত্তি করেন অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন।
একাত্তরে বাংলাদেশের শরণার্থীদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন গ্লেন্ডা, তাঁর আবেগঘন বার্তা লন্ডন ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখেন তিনি। অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কিংবা দুঁদে রাজনৈতিক—সব পরিচয় ছাপিয়ে বাংলাদেশের কাছে স্বাধীনতার অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবেই স্মরণীয় ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মারা যান গ্লেন্ডা জ্যাকসন। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
দীর্ঘ ছয় দশকের অভিনয়জীবনে গ্লেন্ডা জ্যাকসন দুটি অস্কার, তিনটি এমি, দুটি বাফটা ও একটি টোনি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। শৈশবে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে গ্লেন্ডাকে; বাবা ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি, মা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ক্ষুধার কষ্ট তাঁর চেয়ে কে আর বেশি বুঝবেন। ‘কনসার্ট ইন সিমপ্যাথি’তে অংশগ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে দ্বিতীয়বার আর ভাবেননি গ্লেন্ডা। শরণার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ছুটে আসেন কনসার্টে।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- অভিনয়
- অভিনয়শিল্পী
- গ্লেন্ডা জ্যাকসন