সমাজের যে অংশটি অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যুক্ত, যাদের লেনদেন হয় ‘ক্যাশ’ টাকায়, প্রথাগত ব্যাংকও যাদের ঋণ দেয় না, সেই বড় অংশটিকে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার স্বপ্ন দেখছে ‘নগদ’।
ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল লেনদেন সেবা বলছে, ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তারা একেবারে প্রান্তিক মানুষদের এক অংকের সুদ হারে ঋণ দিতে চায়। এই ঋণের জন্য কোনো জামানতও রাখা হবে না।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান যেভাবে কাজ করেছে, তাতে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো হয়ে গেছে।
কারা ঋণ পাবে, পেলে কত টাকা পাবে, সে বিষয়ে গবেষণাধর্মী কাজও এগিয়ে নিয়েছে নগদ। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এমএফএসে লেনদেনের ইতিহাসসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক এই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ছাড়া প্রথাগত ব্যাংকের মত শাখা থাকবে না বলে পরিচালন ব্যয় কম হবে। ফলে তুলনামূলক কম সুদে ঋণ বিতরণ করেও মুনাফা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন তানভীর এ মিশুক।
দেশে ডিজিটাল ব্যাংক পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করলে মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আর দরকার পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালার খসড়া তৈরি করার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে নগদ এমডি বলেন এ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা।