সরকারের পক্ষ নিল চীন, জটিলতা আরও বাড়াবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মান, নির্বাচন, মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে বরাবরই নীরবতা অবলম্বনের কৌশল অনুসরণ করে এসেছে চীন, রাশিয়া, জাপানসহ সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশগুলো। নীরবতা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপান সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কথা বলছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অবস্থায় ভূরাজনীতিতে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এবং রাশিয়াও এখন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে।
চীন গতকাল বুধবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করেছে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এই বৈরী দেশটি বলেছে, কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানোর মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্ব ও তাঁর দেশের মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও সংস্থাটির সাবেক ও তদানীন্তন সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আর গত ২৪ মে দেশটি বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়ম-জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ভিসা দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য সংগ্রহে কড়াকড়ি আরোপ করার জন্য গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।