দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় এমপি ও ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের পৃথক চিঠি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটি বলছে, এসব চিঠি ও বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও সরকারের বিষয়ে গুরুতর আপত্তিকর বক্তব্য তুলে আনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমপিদের চিঠিতে আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবির সপক্ষে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এভাবে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মোটেই কাম্য নয়।
ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা আন্তর্জাতিক এসব মহলের এমন তৎপরতার পেছনে বিএনপির লবিং-তদবিরকে দায়ী করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বিএনপি চাইছে নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সরকারকে চাপে রেখে নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে। এ কারণে তারা বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে ধরনা দেয়। এ জন্য লবিস্টও নিয়োগ করেছে তারা।
তবে এসব তৎপরতাকে গুরুত্ব দেওয়ার তেমন কিছু নেই বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা। তাঁদের মতে, যাঁরা এসব চিঠি চালাচালি করছেন, তাঁরা বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে কতটুকু প্রভাব রাখার ক্ষমতা রাখেন– সেটাও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। দেশের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব মহলের এমন অপতৎপরতা দেখা যায়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে তাদের এমন দৌড়ঝাঁপ দেখা গেছে, যা এ দেশের সরকার ও জনগণের কাছে একেবারেই গুরুত্বহীন একটি ইস্যু। তাই এ নিয়ে সময় নষ্ট না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার বিষয়েই মনোযোগী হওয়া দরকার।