তবু চোখ থাকবে স্পিনারদের ওপর
ইদানীং ক্রিকেটারদের গ্রুপ ছবিতে তাকালে চোখ আটকে যায় তাঁদের দিকে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের দীর্ঘদেহী সব পেসারের দিকে। দেশে কিংবা দেশের বাইরে, সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁদের দাপট স্পষ্ট। লাল বলের ক্রিকেটেও পেসারদের নিয়ে দলের আস্থা বাড়ছে। পেসারদের জন্য ঘরের মাঠের উইকেটে রাখা হচ্ছে সবুজ ঘাস। গতির উচ্চাঙ্গসংগীত গাইতে শোনা যায় দলের অধিনায়ক ও কোচদের। এসবই বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলমান পেস–বিপ্লবের বহিঃপ্রকাশ।
কিন্তু পেসারদের কাছে দলের প্রত্যাশার সঙ্গে সেই বিপ্লবের মিল নেই। নতুন বলে ইবাদত-শরীফুলদের কাছে চাহিদা থাকে দু-একটি উইকেট এনে দেওয়া পর্যন্তই। এরপর দিনের বাকি সময় স্পিনারদের বিশ্রাম দিতে বোলিংয়ে আনা হয় পেসারদের। তখন রান থামিয়ে রাখতে পারলেই অধিনায়ক খুশি। কদিন আগেই জাতীয় দলের এক পেসারের কথায় যে চিত্রটা ফুটে ওঠে, ‘ঘরের মাঠে আমাদের সাপোর্টিং কাজটা করতে হয়। রান কম দিয়ে যদি দু-একটা উইকেট বের করতে পারি, সেটাই যথেষ্ট।’ সে জন্য ঘরের মাঠে পেসারদের লম্বা স্পেল পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, ‘ধরুন, আপনি একজন ব্যাটসম্যানকে তিন ওভার ধরে বাইরে বল করছেন। এরপর চতুর্থ ওভারে গিয়ে একটা বল ভেতরে আনার পরিকল্পনা ছিল। এমনও হয়েছে যে সেই চতুর্থ ওভার আসার আগেই আমার স্পেল শেষ।’
- ট্যাগ:
- খেলা
- টেস্ট ক্রিকেট
- স্পিনার