ক্ষয়িষ্ণু মার্কিন প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যে নতুন অতিথি চীন
বহু শতাব্দী ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যে রাজনৈতিক শৃঙ্খলা বিরাজ করছিল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে তার মৃত্যু হয়। এরপর বিজয়ীরা আপন খেয়ালখুশি মতো পুরো অঞ্চলের নকশা আঁকে, কাটাকুটি করে। কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের ডিজাইন করা হয়েছে এ বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে ডেভিড ফ্রমকিন ও জেমস বার নামের দুই ব্রিটিশ লেখক দুটি বই লিখেছেন। ফ্রমকিনের বইয়ের নাম ‘এ পিস টু অ্যান্ড অল পিস’। তিনি দেখিয়েছেন, ভার্সাই শান্তিচুক্তি কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির যবনিকা টেনেছে এবং এই অঞ্চলের বিপর্যয় রোধ করার বদলে অতলে ডুবিয়েছে। জেমস বারের বইয়ের নাম ‘এ লাইন ইন দ্য স্যান্ড’।
দুটি বই-ই যুক্তি-প্রমাণসহ উপস্থাপন করেছে যে, উপজাতি, সম্প্রদায় এবং ভৌগোলিক বিবেচনার তোয়াক্কা না করে কতটা অযত্নে সে সময় বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের সীমান্ত রেখা টানা হয়েছে। এই তাড়াহুড়া ও অসতর্কতার ফল ভোগ করছি আমরা। শতাব্দীকাল পরে আজ আমরা কেবল আশাই করতে পারি যে, একদিন নিশ্চয় সীমান্তগুলো শীতল হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে আপন সমস্যার সমাধান করবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- চীন
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- মধ্যপ্রাচ্য