মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ যখন দ্বারপ্রান্তে, তখনই মসলার বাজার অস্থির হইয়াছে। ইহা আমরা ইতোমধ্যে সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদামাধ্যম সূত্রে জ্ঞাত। নিয়ন্ত্রণে না আনিলে এহেন পরিস্থিতি যে এই প্রায়-সর্বজনীন উৎসব পালনে বিঘ্ন ঘটাইতে পারে– পূর্ববর্তী বৎসরগুলির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই আশঙ্কা আমরা ব্যক্ত করিয়াছি। তবে আশার বিষয়, বাজার তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহ উল্লিখিত বিষয়ে কিছুটা হইলেও তৎপর। অন্তত রবিবার সমকালের এক প্রতিবেদনে তেমনই ইঙ্গিত করা হইয়াছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্প্রতি মসলার বাজারের বিদ্যমান অস্থিরতা বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটা প্রতিবেদন পাঠাইয়াছে। তথায় কাহারা কী প্রকারে মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করিতেছে, উহা তুলিয়া ধরা হইয়াছে। উপরন্তু সমকাল প্রতিবেদকের নিকট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলিয়াছেন, আমদানিনির্ভর মসলার বাজারে মূলত ৭০ হইতে ৮০ জন ব্যবসায়ীর ইশারাতেই মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি পায়। আমরা দেখতে চাহিব, মসলার বাজারে অস্থিরতার কারিগরগণ চিহ্নিত হইবার পর উহাদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপও পরিলক্ষিত হইবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- দাম বৃদ্ধি
- মসলার বাজার
- কোরবানির ঈদ