হাঁপানি অবহেলা নয়
হাঁপানি হল শ্বাসনালির সংকোচনজনিত একটি রোগ। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ও ধোঁয়া যখন নাকের ভেতর দিয়ে শ্বাসনালিতে ঢোকে, তখন শ্বাসনালিতে প্রদাহ হয়। এই অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের ফলে শ্বাসনালি সাময়িকভাবে সংকুচিত হয়ে যায়। আবার যখন অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া চলে যায়, তখন শ্বাসনালি আগের পর্যায়ে ফিরে আসে। তবে সবার ক্ষেত্রে কিন্তু অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয় না। তাই পারিপার্শ্বিক ধুলা-ধোঁয়ার প্রভাবে সবারই যে হাঁপানি হবে, এমনটা নয় মোটেও।
হাঁপানির আশঙ্কা বাড়ে মূলত দুটি কারণে– জিনগত গঠন ও পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস থাকলে। ফার্স্ট ব্লাড রিলেশনের (মা-বাবা, দাদা-দাদি প্রমুখ) কারও এই রোগ থাকলে আপনারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কাজের সূত্রে যাঁদের ধুলা-ধোঁয়ার মধ্যেই বেশিরভাগ সময়টা কাটাতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে হাঁপানির ঝুঁকি বেশি। হিট চেম্বার, কাঠকয়লার ধোঁয়া ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। তবে অ্যালার্জি আদৌ হাঁপানি কিনা, তা জানতে নানা পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শুকনো কাশি (একবার কফযুক্ত কাশিও হতে পারে), শ্বাসনালির মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ, শ্বাসকষ্ট। সোজা রাস্তায় চলতে গেলে, সিঁড়িতে উঠতে গেলে, ভারী জিনিস নিলে যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে হয়তো আপনি হাঁপানিতে আক্রান্ত।