টিপু হত্যার আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল?

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩, ১০:২৪

আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ জোড়া খুনের ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। চার্জশিটে মোট ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিস্তারিত নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এক্সেল সোহেল নামে এক যুবককে। চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত পরিকল্পনা, অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ, খুনি ভাড়া করাসহ সকল তথ্য উঠে এসেছে। তবে টিপুর স্ত্রী ফারাজানা আক্তার ডলি অভিযোগ করেছেন, চার্জশিটে মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম প্রথম দিকে না রেখে পেছনের দিকে রাখা হয়েছে। এতে আসামিরা আদালত থেকে প্রিভিলেজ নিতে পারে। এছাড়া তারা প্রকাশ্যে ঘুরলেও অনেককে গ্রেফতারও করা হয়নি। অবশ্য তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা তদন্তে যা পেয়েছেন, সেই অনুযায়ী আদালতে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। আলোচিত এই ঘটনার চার্জশিটের একটি অনুলিপি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে।


যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা হয়


চার্জশিটে বলা হয়েছে, জাহিদুল ইসলাম টিপু একসময় বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন মিল্কি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় টিপুর নাম আসলে তিনি দলীয় পদ হারান। পদ হারানোর পরও তিনি একাই মতিঝিল এলাকায় টেন্ডার, ফুটপাত, কাঁচা বাজার, ডিস ব্যবসা, ঠিকাদারি, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ কারণে দলীয় পদে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার বিরোধ ও দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা টিপুর কাছ থেকে কোটা ভিত্তিতে আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই শীর্ষ পলাতক সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মতিঝিল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে।


চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি গোলাম আশরাফ তালুকদার, মারুফ আহমেদ মনসুর, কামরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল তালুকদার, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ, ইমাম খান ওরফে দামাল, নাসির উদ্দিন মানি, সুমন শিকদার ওরফে মুসা, মাহবুবুর রহমান টিটু, জুবের আলম খান ওরফে রবিন ওরফে রেলওয়ে রবিন, আরিফুর রহমান সোহেল ওরফে ঘাতক সোহেল, খাইরুল ইসলাম মাতবর ওরফে খোকা, সোহেল শাহরিয়ার, মারুফ রেজা সাগর, শামীম হোসেন ওরফে মোল্লা শামীম, মোহাম্মদ মারুফ খান ও হাফিজুল ইসলাম ওরফে হাফিজ তাদের সহযোগী মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ, সেকান্দার শিকদার ওরফে আকাশ, ইসতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান ওরফে রাকিব, তৌফিক হাসান বাবু ওরফে বিডি বাবু, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, রিফাত, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোরশেদুল আলম পলাশ, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মশিউর রহমান ওরফে ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, রানা মোল্লা, সামসুল হায়দার ওরফে উজ্জল ও এক্সেল সোহেলদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আন্ডারওয়ার্ল্ডের পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টি ও জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিকের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার জন্য বিভিন্ন গোপন বৈঠক করে।


চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা সর্বশেষ পুরানা পল্টনের বায়তুল ভিউ টাওয়ারের বার্ডস আই রুফটপ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কনভেনশন হলে বৈঠক করে। ভিডিও কনফারেন্স ও সরাসরি ওই বৈঠকে সবাই জাহিদুল ইসলাম টিপুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। প্রথমে সেখানে মতিঝিল এলাকার ঠিকাদারি ও স্কুলে ভর্তি নিয়ে কথা শুরু হয়। ডিস ব্যবসায়ী সাগর বলে তার লোকজন এলাকায় ডিসের সংযোগ দিলে টিপুর লোকজন মারধর করে। সিনিয়রদের প্রতি রাগান্বিত হয়ে সাগর বলে আপনাদের রাজনীতি করে লাভ নাই। আমরা এলাকা ছেড়ে যাবো। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ভর্তির কথা উঠলে সোহেল শাহরিয়ার বলে টিপু ভাই টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু আমাদের হিসাব দেয় না। জিসান ও মানিক ভাই একশ ছাত্র ভর্তি করাতে বলেছিল, কিন্তু তার কী হলো বলে জানতে চান তিনি। তখন মনসুর জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে টিপুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু টিপু ভর্তির বিষয়ে কথা বলতে চাননি। এক পর্যায়ে সোহেল শাহরিয়ার রিফাতের মোবাইল দিয়ে মানিককে ফোন দিয়ে জিসানকেও কনফারেন্সে নেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও