
শিক্ষায় কত অভিঘাত
স্বাধীনতা শব্দটির সঙ্গে একদা দ্রুত যুক্ত হয়ে গিয়েছিল আরও কয়েকটি শব্দ—ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ইত্যাদি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই সব শব্দের ওপর একের পর এক আক্রমণে আমরা দিশাহারা হয়ে যাই। সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয় ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক শব্দটির ওপর। সামরিক শাসন আসার পর গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র তো গেলই, পরের আক্রমণটা ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর। সংবিধান থেকেই এর যাত্রা শুরু।
এরপর স্বাধীনতাবিরোধীদের ভোঁতা অস্ত্র ধারালো হতে থাকল। ক্ষেত্র হিসেবে তারা বেছে নেয় শিক্ষাকে। সহজ পথই তাদের জন্য যেটি খোলা ছিল, সেটি হলো মাদ্রাসা শিক্ষা। আমরা সেই পাকিস্তান আমলে কিছু মাদ্রাসা দেখেছি, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি, বাংলা, গণিত ও অন্যান্য বিষয়ও পড়ানো হতো। যেহেতু মাদ্রাসাগুলোতে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল এবং লেখাপড়া ভালোই হতো, তাই মেধাবী ছেলেরা একটু বড় হয়ে সাধারণ স্কুলে (হাইস্কুল/ হাই ইংলিশ স্কুল) ভর্তি হয়ে যেত। পরবর্তীকালে তারা প্রবেশিকা বা এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করত।