কৃষি যান্ত্রিকায়ন ইমার্জেন্সি

ইত্তেফাক এফ এইচ আনসারী প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ১৩:১২

বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবেই কৃষি সম্ভাবনাময় একটি দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কৃষিতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত পণ্য, সবজি, ফল চাষ, মুরগি, গবাদি পশু, দুধ উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্য এবং আমিষের চাহিদা অভ্যন্তরীণভাবে অনেকটাই পূরণ করতে পারছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে চাষযোগ্য আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফসল উৎপাদন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। কৃষিতে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা এখনো কার্যত সেকেলে ধরনের চাষ পদ্ধতি নিয়েই পড়ে আছে। কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো না গেলে আমরা যতই কৃষিপণ্য উৎপাদন করি না কেন সেখানে লাভ কম হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ছাড়া কোনোভাবেই কৃষি খাতের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে না। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে তুলনামূলক কম খরচে বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো গেলে কৃষক কম খরচে এবং তুলনামূলক কম পরিশ্রমে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবে। তারা উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পাবে। একই সঙ্গে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। সাধারণ ভোক্তা শ্রেণি তুলনামূলক কম খরচে কৃষিপণ্য ক্রয় করতে পারবে। তাই কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিষয়টি এই মুহূর্তে খুবই প্রয়োজন। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গবেষণা ও অধিক ফলনশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা এবং কৃষি যান্ত্রিকায়ন করা। সেকেলে ধরনের চাষ পদ্ধতির পরিবর্তে সর্বত্রই যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। শুধু যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষ করলেই চলবে না, ফসল তোলা থেকে শুরু করে মাড়াই ইত্যাদি সব কাজই যাতে যন্ত্রের সাহায্যে সম্পন্ন করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষিপণ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যান্ত্রিকায়ন করতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকায়ন করা গেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। একজন কৃষক আগের তুলনায় কম পরিশ্রমে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও