তারুণ্যের জন্য কী আছে বাজেটে

সমকাল ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৩, ০২:৩১

আমার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা প্রায়ই তাদের হতাশার কথা ব্যক্ত করে। অনেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। কয়েক দিন আগে স্নাতকপড়ুয়া আমার এক ছাত্র কুশল বিনিময়ের লক্ষ্যে আমাকে ফোন করে তার হতাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে একটি আবেগজড়িত অভিজ্ঞতা শেয়ার করল। সে জানাল, তার মা-বাবা হতাশ হয়ে ইদানীং বলছেন, কেন যে তাঁরা ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন! কেন তাকে ছোটবেলা থেকেই কোনো কাজে লাগিয়ে দেননি! তাঁরা মনে করেন, যদি পড়াশোনা না করিয়ে কোনো কাজে লাগিয়ে দিতেন, তাহলে হয়তো উচ্চশিক্ষিত সন্তানের এই বোঝা দীর্ঘ সময় ধরে টানতে হতো না। এমন অভিজ্ঞতা খুঁজতে গেলে অসংখ্য পাওয়া যাবে। ধরে নেওয়া যায়, এটিই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাস্তব চিত্র। ইদানীং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত দেখলে আমরা অনুভব করতে পারি, দেশে কর্মসংস্থানের হাহাকার কতটা ভয়াবহ!


এ প্রেক্ষাপটেই প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষত শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের  কর্মসংস্থান প্রসঙ্গটি কতটা গুরুত্ব পেয়েছে, তা খুঁজে দেখার ন্যায্যতা অনেক বেশি। কর্মসংস্থান নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রায়ই তাঁর পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। আমরা গণমাধ্যম থেকে এ বিষয়ে ধারণা পেয়ে থাকি। তিনি স্পষ্টতই বেশ কয়েকবার বলেছেন, বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা রাখার মানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও বেশ সুযোগ তৈরি করা।


পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের বর্তমান জনগোষ্ঠীর ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম। আর জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ তরুণ। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা থেকে জানা যায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের কর্মক্ষম শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণ সমাজকে প্রস্তুত করতে বাজেটে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজে অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব হয়েছে। এ ছাড়া নারী ও শিশুবান্ধব কর্মস্থল তৈরিতে নানা উদ্যোগ আছে বাজেটে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বরাদ্দ আরও বেশি হলে ভালো হতো। বিশেষ করে বাজেটের পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং এর সুচিন্তিত প্রয়োগ নিয়ে শঙ্কা অনেকের মনেই রয়েছে। তার পরও তরুণদের যথাযথভাবে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকারের ইতিবাচক ভাবনাকে সাধুবাদ জানাতে হয়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও