এসি ছাড়াই ঘর থাকবে ঠান্ডা! জানতে হবে সঠিক টোটকা
তীব্র গরমে বাড়িতেও এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। গনগনে রোদে বাইরে বেরোলেই ঝলসে যাচ্ছে চোখমুখ। বাড়িতেও যে স্বস্তি মিলছে, তা কিন্তু নয়। রোদের তাপে তেতে উঠছে বাড়িঘর। দুপুরের দিকে সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। অগত্যা ভরসা ফ্যান আর বাতানুকূল যন্ত্র। কিন্তু যন্ত্র যখন, খারাপ হতে পারে যে কোনও সময়ে। হতে পারে লোডশেডিংও। তাই সব সময়ে যন্ত্রের উপর ভরসা না করে ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন অন্য ভাবে। গরমের সময়ে গাঢ় রঙের সুতির পর্দার ব্যবহার, চটের ব্যবহার বাড়ি-ঘর ঠান্ডা রাখে। জানেন কি উষ্ণ আবহাওয়ায় ঘরের ভিতর কিছু গাছ লাগালেও কমে যেতে পারে ঘরের উষ্ণতা? গাছপালা শুধু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে না, এই ধরনের গাছপালা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করতেও সহায়তা করে।
জেনে নিন ঘর ঠান্ডা রাখতে কোন কোন গাছ বাড়িতে রাখবেন।
১) অ্যালো ভেরা: ওজন কমানো থেকে ত্বকের পরিচর্যা, অ্যালো ভেরা ব্যবহার করলেই মেলে উপকার। এর পাশাপাশি, এই উদ্ভিদটি বাতাস থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করতেও সহায়তা করে। তাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
২) ছোট রবার গাছ: রবার গাছ পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড দীর্ঘ ক্ষণ তাপ ধরে রাখতে সক্ষম, ফলে ঘরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাজেই ঘরের অক্সিজেন এবং উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে এই গাছ বেশ উপকারী।
৩) মানি প্ল্যান্ট: বাতাস পরিশুদ্ধ করতে মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর। গোল্ডেন পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাস সব সময়েই বেশি ঠান্ডা।
৪) এরিকা পাম: বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম। এটি তাল গাছের তুতো ভাই, তবে আকারে ছোট। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, অন্দরের শোভাও বৃদ্ধি করে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয় এই গাছ।
৫) স্নেক প্ল্যান্ট: এখন অনেকই বাড়িতে ছোট্ট টবে স্নেক প্ল্যান্ট লাগান। এই উদ্ভিদটিও ঘরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উদ্ভিদটি অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শোয়ার ঘর বা বসার জায়গাতে রাখার জন্য এই গাছটি বেশ মানানসই।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- গাছ লাগানো
- ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল