উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি কৃষি ও খাদ্য অর্থনীতিকে চাপে ফেলবে

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৩, ০৮:৪৭

আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম এখন কমছে। বর্তমানে তা কভিডপূর্ব পর্যায়ের কাছাকাছি। যদিও গত এক বছরে দেশে সারের দাম বেড়েছে অন্তত দুই দফায়। একই সঙ্গে কয়েক দফায় বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম। সামনের দিনগুলোয় তা আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। দেশের বাজারে সার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কৃষি ও খাদ্যপণ্যের সরবরাহ চেইনে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে গোটা অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরাও আশঙ্কা করছেন।


গত বছরের আগস্টে প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ৬ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর গত এপ্রিলে ইউরিয়াসহ অন্যান্য রাসায়নিক সারের দাম আরেক দফায় বাড়ানো হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্টে ইউরিয়ার সারের দাম কৃষক পর্যায়ে ৬ টাকা বাড়িয়ে ১৬ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে আরেক দফায় বাড়ানো হয়। এ সময় ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এ চার ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এতে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৭ টাকা, ডিএপি ২১, টিএসপি ২৭ ও এমওপি ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ সময় সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম চড়া থাকার কথা জানানো হয়। 


যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে রাসায়নিক সারের দাম চলতি বছরের শুরু থেকেই টানা কমতির দিকে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পিংক শিটের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছুটা অস্থিতিশীল সময় পার করলেও এখন তা টানা কমতে শুরু করেছে। বাজারে সারের দাম এখন প্রাক-কভিডকালের কাছাকাছি পর্যায়ে। কভিডকালীন অভিঘাত ২০২১ সালে ডিএপি সারের দাম প্রতি টন ৬০১ ডলারে উঠে গিয়েছিল। গত বছর তা ৭৭২ ডলার ২০ সেন্টে উঠে যায়। সর্বশেষ চলতি ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষের মে মাসে তা বিক্রি হয়েছে ৫১০ ডলারে। একইভাবে পটাশিয়াম ক্লোরাইড বা মিউরেট অব পটাশের (এমওপি) দাম ২০২১ সালের ৫৪২ ডলার ৮০ সেন্ট থেকে গত মাসে ৩৭২ ডলার ৫০ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে টিএসপি সারের দাম ৫৩৮ ডলার ২০ সেন্ট থেকে ৪৮৫ ডলার ৬০ সেন্টে এবং ইউরিয়া সারের দাম ৪৮৩ ডলার ২০ সেন্ট থেকে ৩২৯ ডলার ৩০ সেন্টে নেমে এসেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও