বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা কতটুকু গুরুত্ব পেল
বাজেট ঘোষণা হলো, বাজেটে ভালো-মন্দ উভয় দিক আছে। বিশ্বে সংকট চলছে যা অর্থনীতি ও রাজনীতিকে নানাভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এই সংকটে বাজেট দেওয়া কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। নানামুখী চ্যালেঞ্জিংয়ের মধ্যে সরকার বাজেট ঘোষণা করেছে। জনগণের প্রত্যাশার বাজেট হলো কিনা তা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে। অনেকেই বলেছেন যে, বাজেট বাস্তবসম্মত নয়, কিন্তু আমি দেখি অন্যভাবে। যেমন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে। এটা একটি ইতিবাচক দিক।
সর্বজনীন পেনশন চালু এই বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় বিষয়। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করতে সরকারকে নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া বাজেটের অনেক সফল দিক রয়েছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা অনেক বছর ধরে বলে আসছেন। এবারের বাজেটেও তার প্রতিফলন হয়নি। অঙ্কের হিসাবে বরাদ্দ বেড়েছে। বাস্তবে বাড়েনি, বাজেটে শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো সুখবর নেই মনে হচ্ছে। বাজেট যতটা ব্যবসা উপযোগী, ততটা শিক্ষাবান্ধব নয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষায় জিডিপির ৫ শতাংশ বা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ করবে এ রকম সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল। তা এখনো রক্ষা হয়নি। শিক্ষা ও প্রযুক্তি মিলে একটি খাতে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা হওয়া উচিত নয়। দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষাকে পৃথকভাবে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।