একনজরে বাজেট ২০২৩-২৪, কী থাকতে পারে এবার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:০৫

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন তিনি।


এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য থাকছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক, আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও কী কী থাকতে পারে:


করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি


২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে বার্ষিক আয়ের প্রথম তিন লাখ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হয় না। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে।


প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়িতে খরচ বৃদ্ধি


ফ্ল্যাট-প্লট নিবন্ধন করার সময় ক্রেতাকে নানা ধরনের কর দিতে হয়। যেমন গেইন ট্যাক্স, ভ্যাট, স্ট্যাম্প মাশুল, নিবন্ধন মাশুল, স্থানীয় সরকার কর। ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ কর দিতে হয়। এই করহার বাড়ানো হতে পারে। সব মিলিয়ে কর ভার হতে পারে ১৫ শতাংশ। যেমন এক কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনলে আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ বাড়তে পারে।


ভ্রমণ কর বৃদ্ধি


আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জল, স্থল ও আকাশ—তিন পথেই ভ্রমণ কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ হারে বাড়বে ভ্রমণ কর। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে মানুষের ভ্রমণব্যয় বাড়বে।


সর্বজনীন পেনশনের ঘোষণা


বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পরীক্ষামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দেবেন।


সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি


সামাজিক সুরক্ষা খাতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ছে। সঙ্গে কিছু কিছু কর্মসূচির ভাতাও বাড়ছে। কোথাও বাড়ছে জনপ্রতি ৫০ টাকা, কোথাও-বা ১০০ টাকা। এটুকু ভাতা সরকার বাড়াচ্ছে আবার সাত বছর পর। ভাতা কিছুটা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে।


২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হতে পারে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।


আগামী অর্থবছরেও নগদ সহায়তা বা ভাতার জন্য থাকছে আটটি কর্মসূচি। এই খাতে বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে।


কর্মসূচি আটটি হলো বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা; হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ভাতা; মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা এবং সরকারি কর্মচারীদের অবসর ভাতা।


খাদ্যনিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়বে


খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় টিআর, জিআর, ভিডব্লিউবি, ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিএফ ইত্যাদি ১১টি শ্রেণিতে ১৫ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে চলতি অর্থবছরে। আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দুই হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করে। আবার কাজের সুযোগ তৈরি করতে গ্রামে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়।


বাজারে স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে।


অন্যদিকে কিছু পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসিয়ে এবং ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। যেমন কলমের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ছাড়া টিস্যু, ন্যাপকিন, প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যারসহ গৃহস্থালির পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। আমদানি করা ফ্যানে সম্পূরক শুল্কহার বাড়তে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও