জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কৌশল কী?
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হচ্ছে না— ইসির এমন সিদ্ধান্তে রাজনীতি ও ভোটের মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির যতটা খুশি হওয়ার কথা ছিল, সম্ভবত ততটা খুশি হয়নি তারা। কারণ তাদের মূল কনসার্ন ইভিএম নয়, বরং নির্বাচনকালীন সরকার। আরেকটু খোলাসা করে বললে, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন—সেটিই তাদের মূল বিবেচ্য।
বাস্তবতা হলো, যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিগত দুটি নির্বাচনের মতোই অন্তর্বর্তী তথা ছোট পরিসরের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়, আইনত সেই মন্ত্রিসভায় বিএনপির কোনো প্রতিনিধি থাকারও সুযোগ নেই। কারণ বিএনপি সংসদে নেই। তাদের এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অর্থাৎ বিএনপি এখন সংসদের কোনো বিরোধী দল নয়। মাঠের বিরোধী দল বটে।
সঙ্গত কারণেই যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, এ বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুতে যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা, সেটি কোন সরকারের অধীনে হবে এবং ওই সরকারের প্রধান কে থাকবেন? বিএনপি এরই মধ্যে এটি স্পষ্ট করেছে যে, নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবে না। তাহলে কে হবেন ওই সরকারের প্রধান এবং বিদ্যমান সংবিধান ও আইনের আলোকে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারোর পক্ষে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার আদৌ কি সুযোগ আছে? যদি না থাকে তাহলে বিএনপি কি ওই নির্বাচন বয়কট করবে? নির্বাচন বয়কট করে তাদের কী লাভ? সংসদ থেকে তাদের এমপিরা যে পদত্যাগ করলেন, তাতে কি বিএনপির কোনো লাভ হয়েছে?