গাজীপুর সিটি নির্বাচনের শিক্ষা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একটা ইতিবাচক আবহ তৈরি করেছে। অংশগ্রহণমূলক না হলেও অনেক দিন পর একটা অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দারুণ স্বস্তি দিয়েছে সবাইকে। নির্বাচনের ফলাফল এতদিনে সবার জানা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হয়েছেন রাজনীতিতে আনকোরা জায়েদা খাতুন। এটাও সবার জানা, জায়েদা খাতুন আসলে নিজের যোগ্যতায় নয়, জয় পেয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা হিসেবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রাপ্তি অনেক, অপ্রাপ্তিও কম নয়। তবে এ নির্বাচন থেকে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের অনেক কিছু শেখার আছে। প্রশ্ন হলো, আমরা কতটা শিখব এবং সেই শিক্ষা কতটা কাজে লাগাব।
২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে এই আজমত উল্লাকে হারিয়েই মেয়র হয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী এম এ মান্নান। তবে এবার বিএনপি তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অংশ না নিলেও নির্বাচনের দিকে তাদের মনোযোগ ছিল। বরাবরই এ ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। তারা আসলে দূরে বসে মজা নেয়। সরকারি দলের প্রার্থী জিতলে বলে, আমরা আগেই জানতাম বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। এ কারণেই আমরা নির্বাচনে যাইনি। আর সরকারি দলের প্রার্থী হেরে গেলে বলে, আবারও প্রমাণিত হলো, এ সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন নেই। গাজীপুরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিজেরা অংশ না নিলেও নৌকার পরাজয়ে বিএনপি শিবিরে দারুণ উল্লাস।