কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংস্কারগুলো কতটা বাস্তবমুখী

ইত্তেফাক ড. জাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ১০:৪৭

প্রতি বছর ঘোষিত বাজেটে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তার অধিকাংশই বছর শেষে অবাস্তবায়িত থেকে যায়। দেশের অর্থনীতিতে এটা একটি জটিল সমস্যা। বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে। কারণ রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তা বাস্তবসম্মত নয়। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য মোটা দাগে কোনো সংস্কার কার্যক্রমও সাম্প্রতিক নিকট অতীতে গ্রহণ করা হয়নি। ফলে অনেকটা গতানুগতিকভাবে চলছে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। কিন্তু রাজস্ব পদ্ধতি হালনাগাদ ও আধুনিকায়ন করা না হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়ানো যাবে না। রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা হালনাগাদ ও আধুনিকায়ন করতে গেলে কোনো কোনো মহল থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। 


তারা মনে করেন, রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কর প্রদানের ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমে যাবে। রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় যে সামান্য সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলোও বড় ধরনের কোনো সুফল দিতে পারেনি। আমাদের অর্থনীতির আকার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ সেই তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি। ফলে এখনো কর-জিডিপি রেশিও আমাদের দেশে অনেক কম। চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অঙ্গীকার রয়েছে। চলতি অর্থবছরে কর আদায়ের পরিমাণ জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনকালে এ মর্মে শর্ত দিয়েছে। এই অবস্থায় সরকার কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে করসুবিধা বা ছাড় দেওয়ার কারণে সরকার বড় ধরনের রাজস্ব হারায়। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য করসুবিধা বা কর ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাটি প্রত্যাহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করসুবিধা বলতে কর অবকাশ এবং কর রেয়াতকে বোঝানো হয়েছে। ফাইভ স্টার হোটেল বা অন্যান্য বড় হোটেলের জন্য যেসব মালামাল আমদানি করা হয়, তার ওপর বড় ধরনের কর রেয়াত দেওয়া হতো। অন্যান্য আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে যেখানে ১০০ শতাংশ বা ১১০ শতাংশ ডিউটি চার্জ করা হয়, সেখানে হোটেলের মালিকগণ ১০ শতাংশ কর প্রদান করতেন। এখন এই সুযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু এসব পদক্ষেপ গ্রহণের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো কঠিন হবে। কারণ এতে খুব বেশি রেভিনিউ আসবে না। এনবিআর চেয়ারম্যান তো বলেছেন, কর অবকাশ এবং কর রেয়াতসুবিধা দেওয়ার কারণে বছরে আড়াই লাখ কোটি টাকার মতো রেভিনিউ লস হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর রেয়াত এবং অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করে যদি ৩০/৪০ কোটি টাকাও আদায় করা যায়, তাহলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হবে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও