দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমোচ্ছেন? হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছেন না তো?
শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ঘুমও অত্যন্ত জরুরি। ঠিক করে ঘুম না হলে কত যে শারীরিক সমস্যা জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়, সেই তালিকা দীর্ঘ। মানসিক অস্থিরতা থেকে ওজন বেড়ে যাওয়া— ঘুমের ঘাটতি ডেকে আনে এমন কিছু রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শুধু কম ঘুম নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনে বিপদ। সেটা ঘুমের ঘাটতির চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অত্যধিক ঘুমের হাত ধরে কোন সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে?
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা
বেশি ঘুমোলে দিনের অনেকটা সময় শুয়ে শুয়েই অতিবাহিত হয়ে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তা-ই নয়, রক্ত চলাচলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। রক্ত প্রবাহ ঠিক স্বাভাবিক না থাকলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি থেকে যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনও ব্যক্তি কেমন ভাবে জীবনযাপন করছেন, তার উপর। কারণ, তাঁর সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে ওই ব্যক্তির বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া
দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমোলে শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে মহিলা এবং পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। শারীরিক ভাবে সক্ষম না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনগুলির ভারসাম্যও নষ্ট হয়।
স্থূলতা
বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। দিনের অধিকাংশ সময়ে ঘুমিয়ে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরচর্চার অভ্যাসে ভাটা পড়ে। শরীরচর্চা না করলেই ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তা ছা়ড়া ওজন বেশি হলে নানা রকম রোগও বাসা বাঁধবে শরীরে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- অতিরিক্ত ঘুম
- কঠিন রোগের কারণ