নারীর কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি যেসব কারণে
৩০ বছরের পর অনেক নারীর মধ্যে কিডনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় । কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে।
অনেক নারীই কিডনি রোগের ব্যাপারে সচেতন নন। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা গেলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। ভারতের ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. আনন্দ ধারস্কার নারীদের কিডনি রোগের কারণ ও কিছু উপসর্গের কথা জানিয়েছেন।
কিডনিতে পাথর : অনেক সময় নারীদের কিডনিতে পাথর জমা হয়। হরমোনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস এবং বংশগত কারণে এটা হতে পারে। কিডনিতে পাথর জমা হলে পিঠে বা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। প্রচুর পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই): পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে ইউটিআই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে তা কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে। মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে ইউটিআইয়ের সমস্যা দেখা দেয়। মূত্রনালীর সংক্রমণ হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া, পেটে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। কিডনির সংক্রমণ রোধ করতে এ সমস্যা নিরাময় প্রয়োজন। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- কিডনি রোগ
- কিডনি পাথর