ঢাকার জলাশয়গুলো গেল কোথায়!

সমকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩, ০৩:৩১

সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চলাকালে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ কিংবা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হাতিরঝিল থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বিপর্যয়ে অসহায়ত্বের কথা। এ যেন ‘লালন মরল জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা’। আগুন নেভাতে কি এই  শহরে পানির অভাব হওয়ার কথা ছিল? ঢাকা শহরজুড়ে এবং এর আশপাশে এত খাল, বিল, ঝিল, নদী ছিল– সেগুলো গেল কোথায়? 


মাত্র তিন দশক আগেও ঢাকা শহরজুড়ে ৫০টির বেশি খাল, লেক, জলাভূমি ছিল বলে তথ্য পাওয়া যায়। ধানমন্ডি-পরিবাগ-গুলশান-বনানী-মহাখালী-বেগুনবাড়ী খাল এই শহরে শিরার মতো জড়িয়ে থেকে বালু নদীতে সংযুক্ত হতো। শহরের পানি নিষ্কাশন থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও এর গুরুত্ব ছিল অনেক। এর বাইরে ছিল দেগুন-ইব্রাহিমপুর-কল্যাণপুর খাল, যেটি তুরাগ নদে সংযুক্ত করে শহরের নিষ্কাশন এবং জল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহায়তা করত। এ ছাড়া সেগুনবাগিচা-ধোলাইখাল বালু নদী ও বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রবাহিত হতো। এই খালগুলো ঢাকা শহরকে পানি প্রবাহের মাধ্যমে প্রাণপ্রাচুর্য দান করেছিল। শহরে বহমান খাল, অবস্থিত ঝিল, পুকুরগুলো পানির উৎস হিসেবে যেমন কাজ করত, তেমনি এসব প্রাকৃতিক প্রবাহ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।


সময়ের সঙ্গে শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো যেমন কমছে, তেমনি শহরকে ঘিরে রাখা নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এসব প্রাকৃতিক প্রবাহ মানুষ ভরাট করতে শুরু করে তাঁদের আবাসস্থল, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চলাচলের জন্য স্থাপনা নির্মাণ তৈরিতে। পাশাপাশি এসব স্থাপনা থেকে সৃষ্ট বর্জ্য আশপাশের জলাশয়ে ফেলার কারণে সেগুলো ভরাট হয়ে যেতে থাকে। এ জন্য দখলদারিত্ব সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে মনে করা হয়। দেশের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু এই শহরে সারাদেশ থেকে লোক ছুটে এসেছে জীবন-জীবিকা ও নানা কাজের তাগিদে। তাই এই নগরী এখন বিশ্বে কয়েকটি মেগা সিটির একটি, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব বহনক্ষমতা অতিক্রম করেছে অনেক আগে। এই শহরে মানুষ বাড়ছে আর বসবাসকারীদের প্রয়োজনে বাড়ছে আবাসন, রাস্তাঘাট, পরিবহন ব্যবস্থা। মানুষের চাহিদা মেটাতে গিয়ে এই নগরী হয়ে গেছে কংক্রিটের জঙ্গল। 


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও