চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতায় গাজীপুর বিচার

সমকাল আবদুল মান্নান প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩, ০৩:৩১

নানা হিসাবনিকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকার উপকণ্ঠে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। যথারীতি এই নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নিজ নামে অংশ নেয়নি। তারা এই মুহূর্তে ‘সরকার উৎখাতের আন্দোলনে’ ব্যস্ত। তবে তাদের অনেক নেতা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং বেশ ক’জন জয়লাভ করেছেন। মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের সঙ্গে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের। বাংলাদেশে এতদিন উত্তরাধিকারের রাজনীতির সংস্কৃতিতে পিতা বা মাতার আসনে সন্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। এবার তার উল্টোটা ঘটতে দেখা গেল। সন্তানের আসনে মায়ের আবির্ভাব। সন্তান আর মা মিলে আজমত উল্লাকে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন।


জাহাঙ্গীর আলম দল থেকে বহিষ্কৃত হলে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেরি করেননি। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে একটি টিভি অনুষ্ঠানে কথা হয়েছিল। মন্তব্য করেছিলাম– বাংলাদেশের চরম দুর্দিনের কাণ্ডারি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে বঙ্গবন্ধু তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিলে তিনি হয়তো অভিমান করেছিলেন, দলের প্রতিপক্ষ হননি। কারণ, দলের প্রতি তাঁর একটা অঙ্গীকার ও আনুগত্য ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতাকে ঘাতকরা কারাগারে বন্দি করেছিল। তাঁদের পদ-পদবিরও লোভ দেখানো হয়েছিল। তাঁরা কেউ দলের সঙ্গে বেইমানি করেননি। জীবন দিয়ে দলের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার আর আনুগত্য ব্যক্ত করেছিলেন। এমন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে এখনও আছে, তবে তাঁদের দুরবিন দিয়ে খুঁজতে হবে। এখন যাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, তাঁদের বেশিরভাগই তা করেন স্বার্থসিদ্ধির জন্য; দলের আদর্শের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার খুবই ক্ষীণ।


জায়েদা খাতুনকে অভিনন্দন। একই সঙ্গে অভিনন্দন স্থানীয় ভোটার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে। তারা প্রমাণ করেছে সবার সহায়তায় যে কোনো পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। অনেকের আশা এবার জাহাঙ্গীর আলম জয় বাংলা বলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে। তারপর কী হবে তা দলীয় সিদ্ধান্ত। একটু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও