নজরুলের ‘জাতি’ পরিচয় কী?

ঢাকা পোষ্ট সুমন সাজ্জাদ প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩, ১৩:২৮

যে যুগে নজরুলের জন্ম, সেই যুগে বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল ‘জাতি’ পরিচয়। আরও একটি শব্দের মোড়লিপনা ছিল, সেটি হলো ‘জাত’। নজরুল লিখেছেন, ‘জাতের নামে বজ্জাতি’। উৎসগত দিক থেকে ‘জাত’ ও ‘জাতি’ শব্দ দুটি সমসূত্রীয় হলেও তাদের প্রয়োগ ও দ্যোতনা এক নয়।


‘জাত’ বলতে খুব সহজেই বলা চলতো উঁচু জাত, নিচু জাত, অজাত, কুজাত; সঙ্গে রাখা যেত জাতপাতের সমস্যা। লালন যেমন বলেছেন, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।’ ‘জাতি’ শব্দটি দিয়েও ‘জাত’ শব্দের কাজ চলে যেত। জাতের বিচার চলতো লৈঙ্গিক পরিচয় প্রসঙ্গেও—নারী জাতি, পুরুষ জাতি।


‘জাত’ ও ‘জাতি’ শব্দের আর্থপরিধি জুড়ে সক্রিয় থেকেছে মানুষের ধর্ম, বর্ণ ও পেশাগত পরিচয়। কিন্তু নতুন এক দ্যোতনা হাজির হয়েছে ‘জাতি’; একটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে বাঁধতে চেয়েছে ভাষিক, স্থানিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নতুন সুতায়। রাজনৈতিক মানদণ্ডে গড়ে ওঠা এই জনগোষ্ঠীর পরিচয়কে বলা হয়েছে ‘জাতি’ বা ‘নেশন’। চারদিকে যখন নেশনের তুমুল বিস্তার, তখন নজরুলের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? প্রশ্ন জাগে, নজরুলের ‘জাতি’ পরিচয় কী?


আপাতভাবে প্রশ্নটি মীমাংসিত বলেই ধরে নেওয়া হয়। যদিও বিভিন্ন কালপর্বে নজরুলকে জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন খোপে বন্দি করা হয়েছে। নজরুলের নির্বাক দশায় কিংবা মৃত্যুত্তর পটভূমিতে জাতি পরিচয়ের বিচিত্র রকমের উপস্থাপনা দেখা গেছে। পাকিস্তান আমলে তৈরি করা হয়েছে নজরুলের পাকিস্তানি সংস্করণ। জাতীয়তাবাদের সেই কুয়াশা কাটতে না কাটতেই নজরুল ঢুকে গেছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি জাতীয় চেতনার প্রকোষ্ঠে; বিশেষভাবে তা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ কেন্দ্রিক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও