মুক্তি ততটাই দূরে, সমাজবিপ্লব যতটা দূরবর্তী
পৃথিবী যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়; দুর্ঘটনাও নয়। অনিবার্যভাবেই তা ঘটে চলেছে। সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিতদের ভেতর বিভাজনটা অতি পুরনো। একালে বিভাজনটা সর্বগ্রাসী ও সর্বত্রবিস্তারী হয়েছে- এই যা। ভাগটা ওপর ও নিচের। ওপরে রয়েছে সুবিধাভোগী অল্পসংখ্যক মানুষ, নিচে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ- যারা শ্রম দেন এবং যাদের শ্রমের ফল অপহরণ করেই ওপরের সব মানুষ তরতাজা হয়।
লেখক জনাথন সুইফট তার গালিভার্স ট্রাভেলস বইয়ে আজব কয়েকটি দেশের কল্পকাহিনি লিখেছিলেন। দেশগুলোর একটিতে শাসকরা থাকে উড়ন্ত এক দ্বীপে, নিচে বিস্তীর্ণ এক মহাদেশ- সেখানে বসবাস প্রজাদের। প্রজারা মেহনত করে। তাদের উৎপাদিত খাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে তুলে নেওয়া হয় উড়ন্ত দ্বীপে; সুযোগ-সুবিধাভোগী রাজা, তার মন্ত্রী ও পারিষদদের ভোগের জন্য। প্রজাদের বিস্তর অভিযোগ আছে।