সংস্কার আরও বেশি প্রাসঙ্গিক
গত বছর সবার জন্যই বেশ কষ্টকর ছিল। দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে লাগাম টানতে হয়েছে। খরচ কমানো ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেন অপচয় কমালেই যথেষ্ট, সবক্ষেত্রে খরচ কমানোর দরকার নেই, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে যা যা যুক্ত সেখানে কাটছাঁট করার যুক্তি কী? বেশ কিছুদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতির চাপে পড়ে সাধারণ মানুষের যে ত্রাহি অবস্থা তা কারও কাছে অজানা নয়। এই বেসামাল অবস্থা এখনো অব্যাহত আছে তবে কবে শেষ হবে তার কোনো আশু উত্তর নেই।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে। করোনার শুরু থেকেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক দুরবস্থার শুরু, সেই অবস্থা থেকে আড়মোড়া ভাঙলেও সমস্যার বৃত্ত ভেদ করে বের হয়ে আসতে পারেনি। ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে সাধারণ মানুষের সক্ষমতা কমেছে অনেকটা, আর তার প্রভাব পড়ছে তাদের জীবনযাত্রার মানের অবনমনে। সরকার বলছে টাকার অঙ্কে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ডলারের হিসাবে কমেছে! এটাই তো বলে দেয় সাধারণ মানুষ কোথায় আছে এবং কীভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে মানুষের আয় যেমন বাড়ছে না একইভাবে মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রক্রিয়াও থমকে আছে।