১৩০০ বছরের পানীয়

সমকাল ইন্দোনেশিয়া প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩, ০৫:০১

ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি বড় দেশ। এটি মূলত একটি দ্বীপপুঞ্জ। দেশটিতে প্রাচীনতম একটি ঐতিহ্য হলো, ভেষজ উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি পানীয়। এসব ভেষজ উদ্ভিদ সাধারণত খাদ্য, স্বাদ বৃদ্ধি, ওষুধ অথবা সুগন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়। গাছের বীজ, ফল, বাকল এবং শিকড় থেকে মসলা তৈরি হয়।


জাভার রাস্তায় নারীরা যত্ন সহকারে তাদের বাঁশের ঝুড়িতে জামুর বোতল নিয়ে বসেন। জামু হলো ভেষজ ওষুধ ও সুস্থতার ঐতিহ্য, যা ইন্দোনেশীয়রা বহু শতাব্দী ধরে শরীর, মন ও আত্মাকে সুস্থ ও সমৃদ্ধ রাখতে ব্যবহার করে আসছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভেষজযুক্ত একটি টনিক, যা ‘জামু’ নামেও পরিচিত এবং পুষ্টিকর পরিপূরক। সূর্য উঠতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে জামু বিক্রেতারা তাঁদের প্রতিদিনের পথ ধরে হেঁটে বা স্কুটারে করে শুধু তৃষ্ণার্ত গ্রাহককে তাঁদের একটি বোটানিক্যাল ইনফিউশন পরিবেশন করার জন্য থামেন। ইন্দোনেশীয়দের চোখে তিক্ত স্বাদের পানীয়টি শুধু আপনার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য তৈরি হয়নি। জামু মানে পুরোনো জাভানিজ ভাষায় ‘স্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা’। পানীয়টির একটি সমৃদ্ধ এবং প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে, যা ১৩০০ বছরেরও বেশি আগে মাতারাম রাজ্যের সময়ে উদ্ভূত হয়েছিল।


নৃবিজ্ঞানী প্যাট্রিক ভ্যানহোব্রুকের মতে, ‘সেন্ট্রাল জাভাতে ৯ শতকের মন্দিরগুলোর প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা যায়, জামু ও ভেষজ ওষুধের রেসিপিগুলো তখনই স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য পরিচালিত হয়েছিল।’ যদিও কুনিত আসাম (হলুদ ও তেঁতুল) এবং বেরাস কেনকুর (চাল ও সুগন্ধি আদা) দুটি সবচেয়ে সুপরিচিত জামু। প্রতিটি ইন্দোনেশীয় দ্বীপের স্থানীয় গাছপালা ও মসলার ওপর ভিত্তি করে পানীয়ের নিজস্ব সংস্করণ রয়েছে। মধ্য জাভায় মিষ্টি হলুদ এবং তেঁতুলের মিশ্রণ বানানো হয়; বালিনিজরা হগ বরই পাতা থেকে তৈরি লোলো সেম-সেম পছন্দ করেন; মোলুকান দ্বীপপুঞ্জে জামুর নাম কোপি রেম্পাহ; যা কফি, জায়ফল, লবঙ্গ ও দারুচিনির মতো মসলা থেকে তৈরি। প্রতিটি পরিবারের পানীয়ের নিজস্ব সংস্করণও থাকতে পারে, যা মূল শাকসবজির কারণে তেতো হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের একটি সমীক্ষার মধ্যে বিস্ময়কর ১৫ হাজার ৭৭৩টি ভিন্ন জামু রেসিপি নথিভুক্ত করেছে।


পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বা রক্তচাপ কমাতে প্রতিটি জামুতে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। জামু সম্পর্কে কালানির প্রথম স্মৃতি ছিল তাঁর প্রপিতামহের কারখানা, নয়োনিয়া মেনের, যা ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘প্রথম যে জিনিসটি আমি মনে করতে পারি, তা হলো সুবাস– এটি আমার সমস্ত ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করে। একটি ঘরে নারীরা মেঝেতে ইউক্যালিপটাস কাটতেন এবং অন্য ঘরে তারা ভেষজ ও মসলা বাছাই করতেন।’ হিপ বালি বিচ ক্লাব পটেটো হেডের বিনা নুরাগা রামের সঙ্গে হলুদ জামু মিশিয়ে আন্তর্জাতিক অতিথিদের ইন্দোনেশিয়ার স্বাদ উপভোগ করান। নুরাগা বলেন, ‘যেহেতু জামুতে হলুদ, আদা এবং পান্দান পাতা থাকে, তাই এটি ককটেলগুলোয় একটি মসলাদার ছোঁয়া দেয়। পাশাপাশি একটি ভিন্ন স্বাদ যোগ করে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও