গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়ডিজম
থাইরয়েড প্রজাপতির মতো দেখতে ছোট আকৃতির একটি গ্রন্থি, যা আমাদের গলার সামনের দিকে থাকে। এই থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ হলে তাকে হাইপারথাইরয়ডিজম এবং কম নিঃসরণ হলে হাইপোথাইরয়ডিজম বলে। যেসব মহিলা হাইপারথাইরয়ডিজম বা হাইপোথাইরয়ডিজম রোগে আক্রান্ত হন এবং সঠিক চিকিৎসা অগ্রাহ্য তাদের কনসিভ করার ক্ষেত্রে এবং প্রেগন্যান্সিতে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হরমোনের মাত্রায় গর্ভাবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে।
থাইরয়েডের কিছু লক্ষণ গর্ভাবস্থায় উপসর্গের মতোই, তাই অনেক সময় মহিলারা বুঝতেই পারেন না যে, তাদের থাইরয়েডের মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম ত্রৈমাসিক থাইরয়েড হরমোন শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর স্বাস্থ্য প্লাসেন্টার মাধ্যমে প্রাপ্ত হরমোনের ওপর নির্ভর করে। গর্ভাবস্থার ১২তম সপ্তাহের মধ্যে, ভ্রƒণের নিজস্ব থাইরয়েড গ্রন্থি তার নিজস্ব থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে শুরু করে।