ভূমিকম্পের হাতছানি প্রয়োজন ন্যূনতম প্রস্তুতি

দেশ রূপান্তর বদরুল হাসান প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩, ১৪:১৭

বিগত ৫ মে নিত্যদিনের মতো ভোরে উঠে আরাম কুঠরিতে গিয়ে আরামের কাজ শুরু করেছি। এমন সময় কমোড খট করে শব্দ করে বসল; মনুষ্য-চাপে ওপরের পাটাতনে স্থানচ্যুতিতে মাঝে মধ্যে কমোডের এরকম শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু ভয় পেয়ে গেলাম হাতে রাখা সেল ফোনে তৎক্ষণাৎ ভেসে ওঠা ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠ করে। এখন কি তাহলে জনবহুল ঢাকা মহানগরীকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে এই দানব পদযাত্রা শুরু করে দিয়েছে?


পরে টিভির পর্দায় চলন্ত বার্তা পাঠ করে বুঝলাম এ দানব তার সর্বশেষ উপস্থিতি ঘোষণা করেছে ঢাকার অদূর দোহারে, যার উপকেন্দ্র ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় ১০ সেকেন্ডের স্থায়িত্বকালে রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার এই অসুর তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে সমর্থ হয়নি। এরপর বিশেষজ্ঞরা একের পর এক টিভির পর্দায় অভিমত ব্যক্ত করা শুরু করলেন। কেউ কেউ বললেন যে, এটা বড় কোনো আলোড়নের পূর্বাভাস, কাজেই আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। আবার অনেকে আশ্বস্ত করে জানালেন যে, অগভীর উৎস থেকে উৎসারিত এই জাতীয় স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প বরং বড় ধরনের ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়তা করছে; নানা কারণে ভূ-অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া যে পুঞ্জীভূত তেজ ভূমিকম্পের জন্য দায়ী, এই সব ছোটখাটো ভূকম্পনে তার অনেকটাই অবমুক্ত হয়ে যায়। ফলে এগুলোকে কোনো অঞ্চলে ভূ-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নির্দোষ টিউমার হিসেবে গণ্য করা যায়।


সে যে যাই বলুন না কেন, ভূমিকম্প বিষয়টা কেন যে এখনো মানুষের জ্ঞানের অগম্য, তা এক বিরাট রহস্য বটে। সভ্যতা এখন এমন এক উচ্চতায় উপনীত হয়েছে যে, বৃহত্তর পরিসরে মানুষ এখন মহাকাশে সাঁতার কাটছে, গ্রহ-উপগ্রহে তার বসতি গড়তে যাচ্ছে; অদূর ভবিষ্যতে সৌর জগতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তাও বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আবার, ক্ষুদ্র পরিসরে তারা অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচন করে ফেলছে, অযৌন পদ্ধতিতে ক্লোন তৈরি করছে, কলকব্জার মতো প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করছে। অথচ, মাত্র ৬,৩৭৮ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট মাতৃসম এই ধরিত্রীর গহ্বরে কী ঘটে চলেছে, তা আমরা ঘটনা ঘটার এক মুহূর্ত আগেও ঠাহর করতে পারছি না। বৈশ্বিক পরিসরে আকস্মিকভাবে জানমালের ব্যাপক ও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির একটা প্রধান কারণ এই ভূমিকম্প। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির কথা বাদ দিলেও ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ভূমিকম্প বিশ্বে প্রায় ৭,৫০,০০০ মানুষের প্রাণ সংহার করে। বিগত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে যে ভূমিকম্প হয়, তাতে ৫৯,২৫৯ জন আদম সন্তান প্রাণ হারান। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করা হয় তুরস্কে ১০৪ বিলিয়ন এবং সিরিয়ায় ১৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে ৩,৪৫,০০০টি ফ্ল্যাট বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ৪ মিলিয়ন দালানকোঠা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পপ্রবণ ঐ অঞ্চলে বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করায় এত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। পাঠক, এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থাটা একবার বিবেচনা করুন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও