মতিঝিল আইডিয়ালে শতকোটি টাকার ভর্তি-বাণিজ্য
রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিলসহ তিনটি শাখায় গত ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অনুমোদিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত এসব শিক্ষার্থী ভর্তিতে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকার বেশি।
আইডিয়াল স্কুলে ভর্তিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে এবং অভিযোগ অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ আছে, দুটি সিন্ডিকেট এই অবৈধ ভর্তি-বাণিজ্যে জড়িত। এই চক্রে ছিলেন বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভর্তি-বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল শাখার অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী বলেন, ‘আপনি এগুলো জানার কে? এসব তথ্য কই পান? এ ধরনের প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনার নেই। কোনো তদন্তে অনিয়ম উঠে আসলে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেব, আপনাকে না।’ এরপর তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিলে যাত্রা শুরু করে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে বনশ্রী ও মুগদাতেও শাখা খোলা হয়। এই তিনটি শাখায় বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম মিলিয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাত শতাধিক।
ভর্তি-সংক্রান্ত নিয়মের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা রয়েছে। অনুমোদিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই, এটা অনিয়ম ও অবৈধ। এ বিষয়ে আইডিয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হবে।