সব ধরনের নিত্যপণ্য উৎসে করের বাইরে রাখতে হবে

সমকাল প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ০৬:৩১

মো. জসিম উদ্দিন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, তা নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জসিম উদ্দিন বাদল


এবারের বাজেটে আপনাদের মূল দাবি কী কী?


মো. জসিম উদ্দিন: ভ্যাট আইন অনুযায়ী কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর ধাপে ধাপে প্রত্যাহার চাই আমরা। অন্যদিকে, আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানো দরকার। বর্তমানে পণ্য উৎপাদনের জন্য আমদানি করা উপকরণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর রয়েছে। এর ফলে শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, আমদানি পর্যায়ে বর্তমানে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রয়েছে। শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য যা ধাপে ধাপে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ করহার ৩ শতাংশই ছিল। অন্যদিকে, জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার জোর দাবি জানাই।


আইএমএফ আগামী বাজেটে করপোরেট কর না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে।  কমানো হলে শিল্পে এর প্রভাব কী হতে পারে?


মো. জসিম উদ্দিন: এখনও তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার করহারের ব্যবধান বেশি, যা কমানো উচিত। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা উৎসাহিত করতে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার আরও আড়াই শতাংশ কমানো দরকার। এ ছাড়া সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রতি একক লেনদেন ৫ লাখ টাকার বেশি ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার বেশি সব প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার শর্ত সব কোম্পানির জন্য সমভাবে আরোপ না করে শিল্পভিত্তিক ব্যয়ের অনুপাতের ভিত্তিতে আরোপ করার প্রস্তাব করছি। এ সীমা প্রথম বছর ২০ শতাংশ, পরবর্তী বছর ১০ শতাংশ, এর পরবর্তী বছর ৫ শতাংশ এবং তার পরবর্তী বছর শূন্য শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।


শোনা যাচ্ছে, সব ক্ষেত্রে ভ্যাট ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইর অবস্থান কী?


মো. জসিম উদ্দিন : পণ্য বা সেবা খাতে মূল্য সংযোজনভিত্তিক একক ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হলে বিভিন্ন এসআরওভিত্তিক অসম করহার ও জটিলতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। কর ব্যবস্থাও সহজ হবে। মূসক ভোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব এবং পণ্য বা সেবার বিক্রয়মূল্যের মূল্য সংযোজিত অংশের ওপর নির্ধারিত হারে আরোপ করার প্রস্তাব করছি। বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদানের বিধান রয়েছে, যা ব্যবসায়ের খরচ বহনের ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে যায়। তাই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত হবে। এ ছাড়া আবাসন খাত, লোহা, ইস্পাতসহ তালিকাভুক্ত খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফভিত্তিক মূসক বহাল করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও