রেললাইন বেঁকে যাওয়া : করণীয় কী?
লোকো মাস্টার মতিন সাহেবের চাকরি জীবন প্রায় শেষ, আর বছরখানেক পরেই তিনি অবসরে যাবেন। তার এই দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি রেলের অনেক চড়াই–উতরাই, ভালো-মন্দের সাক্ষী। তিনি জোর গলায় বলতে পারেন, কয়েক বছরে সরকার যেভাবে রেলকে আর উন্নত করতে চাইছে তা আগে দেখা যায়নি।
একদিকে যেমন নতুন রেললাইন সংযোগ হচ্ছে অন্যদিকে আধুনিকায়নও হচ্ছে। যেমন কক্সবাজারে ২০২৩ সালেই রেল যোগাযোগ চালু হবে আর তাছাড়া ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে শতভাগ টিকেট অনলাইনে করে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর যে চেষ্টা ছিল তা সত্যি প্রশংসনীয়।
এত কিছুর মাঝেও কয়েক দিন মতিন সাহেব একটা ব্যাপারে খুব অস্বস্তিতে আছেন। কিছুদিন আগে দেশের কয়েকটা জায়গায় ট্রেন লাইন বেঁকে গিয়েছে এবং এটার জন্য দুর্ঘটনা যেমন হয়েছে তেমনি অন্য সব চালকদের মতো তিনি নিজেও খুব ভয় পেয়েছেন।
আজকাল ট্রেন চালাতে গিয়ে তিনি খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন কারণ ২০২৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে করে কোনো জায়গায় রেললাইন যদি একটু বেঁকে গিয়ে থাকে তাহলে তিনি কীভাবে বুঝবেন? অসংখ্য মানুষ গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তার কাঁধে।
সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে এবং তখন এই সমস্যা আরও প্রকট হবে। প্রকৃতির ওপর তো আর কারও হাত নেই এটা তিনি ভালোই বোঝেন। এই সমস্যা পুরো পৃথিবীর, তাই তারা কীভাবে সমস্যা সমাধান করছে সেটা যদি আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা একটু অনুসরণ করতো তাহলে হয়তো রেললাইন বেঁকে যাওয়া থামানো যেত।
- ট্যাগ:
- মতামত
- তীব্র গরম
- রেললাইন বেঁকে গেছে