পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে ‘নির্বোধ’ হতে চাইবেন কে
সক্রেটিসের ঐতিহাসিক একটা কথা আছে। তিনি নির্বোধ ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলেছিলেন, তাঁরা যে জানেন না, তাঁরা সেটাও জানেন না। আমাদের আশপাশে এ রকম অনেক নির্বোধ মানুষের বসবাস। উচ্চশিক্ষিত, সুবেশী, দক্ষ লোকদের কিছু কিছু আচরণ আমাদের রীতিমতো হতাশ করে। কারণ, তাঁরা মাঝেমধ্যে এমন সব সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁদের নির্বোধ না বলে উপায় থাকে না। অথবা তাঁরা জনসাধারণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেরাই নিজেদের বোকামির জালে আটকে পড়েন। যদিও এই বোকামিকেই সফলতা বলে প্রচার করে কৃতিত্ব নিতে চান। অন্যরা যে তাঁদের বোকামি ধরে ফেলেছেন, এই বিষয়ও তাঁরা বুঝতে পারেন না।
এই রকম একটি নির্বোধপনার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া। চলতি অর্থবছরে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। নীতিনির্ধারকেরা মনে করেছিলেন এই সুযোগে সুর সুর করে পাচারকারী ব্যক্তিরা অর্থ ফিরিয়ে আনবেন। যদিও বাজেট ঘোষণার পর অনেকেই এর সমালোচনা করেছিলেন। যাঁরা অর্থ খাতের এই বিষয়ে কমবেশি খোঁজ রাখেন বা অর্থ পাচার নিয়ে জানেন-বোঝেন, তাঁদের অনেকেই বলেছিলেন পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া দুরূহ এক আশা।