ঘুষের টাকা ফেরতে ইউএনওর ভূমিকা

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৩, ০৯:২৯

সরকারি চাকুরেদের স্যার সম্বোধন করা হোক বা না-ই হোক, তাদের পদের বিপরীতে কী কাজ করতে হয় তা সুনির্দিষ্টভাবে লিখিতই থাকে; এ লিখিত তালিকার বাইরেও আকস্মিক পরিস্থিতির কারণে একটি দুটি বিষয়ের উদ্ভব হতে পারে যা মাঠের চাকরিতে ইউএনওকে সামাল দিতে হয়।


আমি ১৯৮০’র দশকে দু’বছর ইউএনও হিসেবে চাকরি করেছি, সময় অনেকটা এগিয়ে গেলে কাজের ধরন সম্পর্কে আমার একটা ধারণা যেমন আছে তেমনি চাকরিরত ঐক্যের কারণে ইউএনওদের প্রতি আমি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ইউএনওদের ইগো সমস্যা থেকে শুরু কিছু কিছু বেআইনি পদক্ষেপের সংবাদ হামেশাই খবরের কাগজে আসে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত কাহিনিটি অনেককেই বিচলিত করেছে, দুটো প্রশ্নের উদ্ভবও ঘটিয়েছে।


১. অন্যের নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব কি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের?


২. কোনো ভিকটিমের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে দর কষাকষি করার দায়িত্বও কি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের?


রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দুটো বিষয় ইউএনওর কার্যতালিকাভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কাজ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেই চিহ্নিত হবে। আর এটাও অনুমেয় অন্যায় কাজ ইউএনওর জন্য ডেসক্রিপশনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। মাঠ প্রশাসন ও রাজনীতি এবং সামাজিক গতিময়তা ও রূপান্তর নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের জন্য উত্তরবঙ্গের একটি উপজেলার ঘুষ ফেরত দেওয়ার কাহিনিটি একটি কৌতূহলোদ্দীপক কেইস স্টাডি হতে পারে।


দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরে থাকা একটি অগ্রাধিবার প্রকল্প হচ্ছে ‘আশ্রয়ণ’। ছিন্নমূল মানুষকে একটি স্থায়ী ঠিকানা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ এই প্রকল্প। এর পূর্বসূরি প্রকল্প গুচ্ছগ্রাম ১৯৮০’র দশকের শেষার্ধে শুরু হয়েছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর পেলে ছিন্নমূল পরিবারের এক দফায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকার সম্পদ হাতে এসে যায়। আর পাঁচ লাখ পেতে মাত্র এক-দশমাংশ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ এমন বড় কিছু নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও