ভারতের মণিপুর রাজ্যে অস্থিরতার নেপথ্যে কী?
হঠাৎই অস্থির হয়ে উঠল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। সেখানে জাতিগত দাঙ্গায় এক সপ্তাহে মারা গেছে অর্ধ শতাধিক মানুষ। বহু ঘরবাড়ি ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করতে হয়েছে।
গত ৩ মে মণিপুরজুরে সহিংসতার পর প্রায় ৩৬ লাখ বাসিন্দার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব গোষ্ঠীকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মণিপুর রাজ্যের সাধারণ নাগরিকেরা জানাচ্ছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার গত সপ্তাহে দাঙ্গার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘উপায়ান্তর’ না পেলে ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ জারি করে।
রোববার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা রাজ্যজুরে নজরদারি ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়িয়েছে’।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করা হলেও মণিপুরে অস্থিতিশীলতা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে।
জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় ও প্রান্তিক এই জনপদে দশকের পর দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সহিংসতা ও প্রান্তিকীকরণের রাজনীতি সেখানকার মূল সংকট হয়েই থেকে গেছে।
ভারতের এই উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে এখনকার অস্থিতিশীলতার নেপথ্যে আসলে কী তা জানার চেষ্টা করেছে সিএনএন।